শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মিয়ানমারকে অস্ত্র দিচ্ছে ইসরাইল

 

সংগ্রাম ডেস্ক : মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। নিরীহ রোহিঙ্গাদের ওপর চলছে দমন-পীড়ন, নির্যাতন।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে অন্তত তিন হাজার রোহিঙ্গা নারী-শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ। প্রাণে বাঁচতে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী রোহিঙ্গাদের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে। এখনও প্রতিদিন ২০ হাজার করে রোহিঙ্গা আশ্রয়ের খোঁজে আসছে বাংলাদেশে।  

আর এ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জাতিগোষ্ঠী নিধনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে মাধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। তাদের সরবরাহকƒত অস্ত্রেই আরাকানে চলছে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ। জানা গেছে, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রচুর পরিমাণে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মিয়ানমার সেনাকে সাহায্য করছে ইসরাইল সরকার।

‘মিডল ইস্ট আই’ নামের এক সংবাদমাধ্যমের খবর, মিয়ানমার সেনাকে রোহিঙ্গা নিধন করতে অত্যাধুনিক অস্ত্র জোগান দিচ্ছে ইসরাইল। ওই অস্ত্রের জোরেই রাখাইনে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী ও সাধারণ মানুষদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে সরকারি বাহিনী। এছাড়াও ‘টার আইডিয়েল কনসেপ্টস’সহ একাধিক ইসরাইলি অস্ত্রনির্মাণকারী সংস্থা বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মিয়ানমারের কমান্ডোদের।

ইতিমধ্যে প্রায় ১০০টি ট্যাঙ্ক, গানবোট, মিসাইল-সহ অন্যান্য মরণাস্ত্র মিয়ানমার সেনাকে দিয়েছে ইসরাইল। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে নাইপিদোকে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে তেল আবিব। প্রবল আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে মিয়ানমারকে অস্ত্র সহযোগিতা করছে ইসরাইল।

যদিও রাখাইন প্রদেশে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। তবে ইসরাইল সে নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে মিয়ানমারের পাশে থাকায় মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সেনাবাহিনী অস্ত্র সংকটে পড়ছে না, এমনটাই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

মিয়ানমার সেনার বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের গণহত্যার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। জঙ্গিদমনের নামে নির্বিচারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের হত্যা করছে সরকারের সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বৌদ্ধ যুব সন্ত্রাসীরা। এমনটাই দাবি জাতিসংঘসহ একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের। এই ইস্যুতে সু চি সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ