শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বর্ষায় পানি-কাঁদা যাদের নিত্য সঙ্গী

মোঃ আবুল বাশার, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) থেকে : “স্কুলে আসার সময়ও জামা-কাপড় ভিজে যায়, যাওয়ার সময়ও ভিজে যায়, ভিজা জামা-কাপড়েই ক্লাশ করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে পানি-কাঁদা আমাদের নিত্য সঙ্গী। পানির জোঁকও সুযোগ পেলে রক্ত নেয়। আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নাই।” উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে দাউদখালী ইউনিয়নের খাসহাওলা গ্রামে ‘নূরজাহান মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ এর ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোসাঃ জান্নাতি হাঁপাতে হাঁপাতে এ প্রতিনিধিকে কথা গুলো বলছিল। পানিতে ভিজে স্কুলে আসা জান্নাতি আরও জানায়, ছোটহারজী গ্রাম থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার পথে প্রতিদিন তার আসা-যাওয়া করতে হয়। কাঁচা রাস্তা বর্ষা ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকে। খালে সুপারি গাছের সাঁকো ঝুকি নিয়ে পারাপার করতে হয়।

জানাযায়, খাসহাওলা গ্রাম নিবাসী পুলিশ কর্মকর্তা (অবঃ) এমএ হামিদ ১৯৯০ সালে নূরজাহান মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। সাথে রয়েছে পশ্চিম দাউদখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দুই স্কুল মিলিয়ে প্রায় ৬ শত শিক্ষার্থী আছে। 

সরেজমিনে দেখা গেছে বর্ষা মৌসুমে পানিতে রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেলে স্কুল ২টি বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়। নিম্ন চাপে পানি বেড়ে গেলে স্কুলের মাঠ ২/৩ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। হাটুসমান কর্দমাক্ত রাস্তায় আছে অসংখ্য খানা-খন্দ। অতি বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানিতে প্ল¬¬¬াবিত হলে রাস্তার অস্তিত্ব আর চোখে পরে না। প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন শিক্ষার্থীর বই-খাতা কাঁদায় লেপ্টে ও পানিতে ভিজে যায়। পানি-কাঁদায় সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগ হয় নারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। 

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মিসেস্ হাসিনা হামিদ জানান, স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের চরম উদাসীনতার কারণে রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন না হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নিরাপদে শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এব্যাপারে দাউদখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক রাহাত খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, খাসহাওলা গ্রামে এবছর ১৫ শত ফুট রাস্তার কাজ হয়েছে। বাকী কাজও হবে। তবে পরিষদের সীমিত সামর্থে রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান সম্ভব না।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ