শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

কারিগরি শিক্ষা খাতে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে -শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন দেশের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা খাতকে  টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন মেয়াদি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। 
গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয়  হোটেল  সোনারগাঁওয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা-প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) পরিকল্পনা” শীর্ষক দিনব্যাপী জাতীয় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো: আলমগীরের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রধান সমন্বয়ক (এসডিজিএস) মো: আবুল কালাম আজাদ, স্টেপ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ বি এম আজাদ বক্তৃতা করেন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস। কর্মশালায় দুই শতাধিক দেশী-বিদেশী কারিগরি শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, বিশেষজ্ঞ, পেশাজীবী, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষা এদেশে খুব বেশি অবহেলিত ছিল। এ শিক্ষার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। এখাতে অর্থ বরাদ্দ ছিল অতি নগণ্য। কোন প্রকল্প ছিল না। ২০০৯-এর আগে এখাতে ভর্তির হার ছিল ১%-এর নিচে। বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার ফলে এ শিক্ষা জনগণের ভাবনায় স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে এ শিক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার ১৪%-এর উপরে, ১টি আসনের বিপরীতে ১০/১২ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অংশগ্রহণ করে, ৬টি প্রকল্প কাজ করছে, ২৬টি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে, বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকে এ শিক্ষার সম্প্রসারণের পাশাপাশি মানোন্নয়ন নিয়ে নানা পর্যালোচনা চলছে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা সরকারের অগ্রাধিকার খাত। কিন্তু কারিগরি শিক্ষা অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার। এ খাতে এখন অনেক কাজ হচ্ছে। এখানে ১০০% ছাত্রীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রতিমাসে প্রায় দেড় লক্ষ শিক্ষার্থীকে ৮০০ টাকা হারে এবং ৭৮,০০০ প্রশিক্ষণার্থীকে ৭০০ টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করা হয়। সম্প্রতি সাড়ে তিন শত শিক্ষার্থীকে তিন বছরের স্কলারশীপ দিয়ে চীন পাঠানো হয়েছে। ২১৫০ জন শিক্ষককে সিঙ্গাপুর ও চীনে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনা হয়েছে। ইনস্টিটিউশন-ইন্ডাস্ট্রি লিংকেজ বৃদ্ধি করা হচ্ছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে জব প্লেসমেন্ট সেন্টার চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট সুবিধা গ্রহণের লক্ষ্যে আমরা এখন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের নতুন প্রজন্মকে সৎ, ন্যায়পরায়ন, মূল্যবোধসম্পন্ন, প্রযুক্তি দক্ষ জনবলে পরিণত করতে হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ