শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

২০০টি রুশ অ্যাকাউন্ট বাতিল করলো টুইটার

২৯ সেপ্টেম্বর, রয়টার্স, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট : ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টার সঙ্গে সংযোগ ছিল এমন প্রায় ২০০টি রুশ-সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার। গত বৃহস্পতিবার এক রুদ্ধদ্বার কক্ষে হাউস অব রিপ্রেজেন্টিটিভস ইনটেলিজেন্স কমিটির সামনে ব্রিফ করার পর এক ব্লগ পোস্টে টুইটার কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দেয়। তবে টুইটারের এ পদক্ষেপকে পর্যাপ্ত মনে করছেন না সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার।
টুইটার কর্তৃপক্ষ জানায়, রুশ সংশ্লিষ্ট ৫০০টি ভুয়া ফেসবুক পেজ ও প্রোফাইলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ছিল এমন ২২টি টুইটার অ্যাকাউন্ট শনাক্ত ও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মার্কিন নির্বাচনে রুশ সংযোগের ঘটনায় অন্য কোনওভাবে জড়িত ছিল এমন আরও ১৭৯টি অ্যাকাউন্টও শনাক্ত করার কথিা জানিয়েছে তারা।
তবে সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির ডেমোক্র্যাট দলীয় সিনেটর মার্ক ওয়ার্নারের অভিযোগ, কোন রুশ নাগরিকরা এসব মাধ্যম ব্যবহার করেছে সে ব্যাপারে টুইটার কর্মকর্তারা উত্তর দিতে পারেননি এবং এর সঙ্গে এখনও বিদেশি প্রভাব জড়িত আছে। ওয়ার্নারের দাবি, এ ইস্যুটি কতটা গুরুতর তা টুইটার কর্তৃপক্ষ এখনও যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারেনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওয়ার্নারের মন্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে টুইটার কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
২০১৬ সালের নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনে রুশ সংযোগের বিষয়টি অনেকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে মস্কো প্রপাগান্ডা ছড়িয়েচিল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ট্রাম্প বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। রাশিয়াও এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
 ফেসবুক সম্প্রতি জানিয়েছে, গত বছর এক লাখ মার্কিন ডলারে ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে তিন হাজার বিজ্ঞাপন চালানো হয়েছে। ধারণা করা হয়েছে,ওইসব বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক রয়েছে এবং মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতেই ওইসব বিজ্ঞাপন চালানো হয়েছিল। পরে ফেসবুক ওইসব বিজ্ঞাপনের বিস্তারিত তথ্য তুলে দেয় মার্কিন নির্বাচনে রুশ সংযোগ বিষয়ক তদন্ত কমিটির কাছে। ওই তথ্য থেকে দেখা যায়,বিজ্ঞাপনগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেগুলো ওই নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সমর্থনকে কমিয়ে দিতে পারে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ