শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বাউফলে পরকিয়ায় বাধা দেয়ায় এক গৃহবধূকে হত্যা

বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা: পটুয়াখালীর বাউফলে স্বামীর পরকিয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় সুমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাতে উপজেলার ধূলিয়া ইউনিয়নের চাঁদকাঠী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে স্বামী নাজমুল ইসলাম ও তার পরিবারের  লোকজন। গত সোমবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, ধুলিয়া ইউনিয়নের চাঁদকাঠী গ্রামের শহিদ হাওলাদারের ছেলে নাজমুল হাওলাদার (৩০) এর সাথে নাজিরপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা তাঁতেরকাঠী গ্রামের শফিকুল ইসলাম তালুকদারের  মেয়ে সুমা আক্তার প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ৪ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই নাজমুল অন্য এক মেয়ের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-ঝাটি হতো। প্রেমের কারণে বিয়ে হওয়ায় নাজমুলের বাবা মাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সুমাকে ভাল চোখে দেখতো না। পরিবারের সদস্যদের ইন্ধনে কারণে-অকারণে নাজমুল তার স্ত্রীকে প্রায়ই নির্যাতন করে গুরুতর জখম করতো। প্রায় ছয় মাস পূর্বে নির্যাতনের বিষয়টি সুমার বাবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান এর কাছে অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে ধুলিয়া ও নাজিরপুর ইউপির চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে আপোষরফা হয়েছিল। কিন্তু এর পরেও  নির্যাতন চালিয়ে যায় নাজমুল।
সুমার বাবা শফিকুল ইসলাম জানান, পরকিয়ার জের ধরে রোববার রাতে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে স্বামী নাজমুল ও তার পরিবারের সদস্যরা সুমাকে বেদম মারধর করে।
এক পর্যায়ে সুমা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তার স্বামী, শ্বশুরসহ পরিবারের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। শ্বশুর বাড়ির লোকজন কৌশলে একটি অটো রিক্সায় সুমার লাশ নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে কালিশুরী বাজারের বিদ্যুৎ অফিসের পাশে অটো রিক্সায় রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে কালিশুরী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম লাশ উদ্ধার করে বাউফল থানায় নিয়ে আসেন।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আযম খান ফারুকী বলেন, এঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ