সাদুল্যাপুরে বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ
সাদুল্যাপুর (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা : গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লটুপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনার বাধা দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের লাঠি ও অস্ত্রেরে আঘাতে মহিলা সহ ৭ জন গুরুতর আহত হয়। আহতদেরকে উদ্ধার করে সাদুল্যাপুর ও রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়েছে। এ ঘটনায় সাদুল্যাপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের হলে, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাখাওয়াত হোসেন ও খোকন মন্ডলকে আটক করেছে থানা পুলিশ। বর্তমানে এ ঘনটাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে থমথম উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
থানার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের মরুয়াদহ গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে শামিম মিয়া গংদের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত গণি মন্ডলের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন ও জামুডাঙ্গা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে খোকন মিয়া গংদের দীর্ঘদিন জমি-জমা বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে সোববার সকালে সাখাওয়াত হোসেন তার দলবল নিয়ে শামিম মিয়াগংদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসী কায়দায় আনিছুর, জনি, শরিফুল ও রুবেল সহ আরও অনেকে ঘর-বাড়ি ও আসবাবপত্র ভাংচুর সহ প্রায় ১৯ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট ও ক্ষতি সাধন করে। সাখাওয়াত গংরা এতেও ক্ষান্ত না হয়ে বাসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের এসব তান্ডবের বাধা দিতে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধরক মারপিট শুরু করে। এসময় প্রতিপক্ষের আঘাতে শামিম, আবুল কাশেম, মিলন, হাসনা, জরিনা, বেছোয়া ও খাতিজা বেগম সহ ৭ জন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এদের মধ্যে আবুল কাশেম ও বেছোয়া বেগম এর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে সোমবার বিকেলে শামিম মিয়া বাদি হয়ে নামীয় ১৬ জন ও অজ্ঞাত ১০/১২জনকে আসামি করে সাদুল্যাপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।