শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

এসপি সুভাষের একাউন্টে কোটি টাকা!

স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় আট কোটি টাকা উপার্জনের অভিযোগে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকার সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে বংশাল থানায় মামলাটি করেন। দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বিষয়টি জানানো হয়েছে। এদিকে গত ২২ অক্টোবর তাকে ফরিদপুর থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়। তার স্থলে চলতি দায়িত্ব দেয়া হয় জামাল পাশাকে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সুভাষ চন্দ্র সাহা পুলিশ বিভাগে চাকরিকালে বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে তাঁর নিজ নামে ও স্ত্রী রীনা চৌধুরীর নামে একাধিক এফডিআর হিসাব খোলেন। তাঁরা যৌথ নামে ওয়ান ব্যাংকের ঢাকার বংশাল শাখায় ছয়টি, এলিফ্যান্ট রোড শাখায় একটি এবং যশোর শাখায় ১২টি এফডিআর হিসাবে অর্থ জমা করেন। তাঁদের ১৯টি এফডিআর হিসাবে বর্তমানে মোট স্থিতির পরিমাণ আট কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৭ টাকা। এই অর্থের উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন রেখে আসামী সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তাঁর স্ত্রী রীনা চৌধুরী মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের যৌথনামীয় এফডিআরগুলোর স্থিতি ও তা অর্জনের উৎসের বিষয়টি ২০১৬-২০১৭ করবর্ষ পর্যন্ত দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করেননি। এ ছাড়া ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে আয়কর রিটার্ন দাখিলের পরে খোলা এফডিআর হিসাবে জমাকৃত অর্থের সমপরিমাণ টাকা ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে তাঁদের দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে উদ্বৃত্ত ছিল না। অর্থাৎ, তিনি পুলিশ বিভাগে চাকরিকালে বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে অর্জিত এই অর্থের উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করেছেন। আর তাঁর স্ত্রী রীনা চৌধুরী তাঁর স্বামীর অপরাধ হতে অর্জিত অর্থ জেনেও স্বামীর সঙ্গে যৌথ নামে এফডিআর হিসাবে জমা রেখে এবং তা গোপন করে উক্ত অপরাধ সংগঠনে সহায়তা করেছেন।

২০১৩ সালের ২৬ মে থেকে ২০১৭ সালের ২২ মে পর্যন্ত সময়কালের হিসাব অনুসন্ধান করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। আসামী সুভাষ চন্দ্র সাহা বর্তমানে এসপি হিসেবে ফরিদপুরে কর্মরত আছেন। তাঁর বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার রাধানগর গ্রামে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ