শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

জোয়ারের পানিতে প্লাবিত কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার মৎস্য্য খামারী

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা ঃ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলের অনিল চন্দ্র ভৌমিকের ৫০টি মৎস্য্য প্রজেক্টসহ অন্তত ৩ হাজার মৎস্য্য খামার।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় অঞ্চলের চরএলাহী  ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের উড়ির চরে অনিল চন্দ্র ভৌমিকের ৫০টি মৎস্য প্রজেক্টসহ হাজার হাজার গরু ছাগল, ভেড়া, মহিষ জোয়ারের পানিতে ভেসে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কয়েকহাজার ঘর বাড়ি, চলছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে আহাজারি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রায় ২শত মহিষ খামারীর হাজার হাজার মহিষ সৃষ্ট জলোচ্ছাস ও বন্যার পানির সাথে ভেসে যায়। বন্যায় প্লাবিত হওয়ার ৪দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বেশিরভাগই মহিষ খামারীরা খুঁজে পায়নি তাদের মহিষ। দক্ষিণাঞ্চলের নদীর কূল ঘেসে ভেসে আসছে অসংখ্য মৃত গবাদী পশু। উড়ির চরের মৎস্য খামারী অনিল চন্দ্র ভৌমিক এই প্রতিবেদক কে জানান, আমার ৫০একর ভূমির উপর ৫০টি মৎস্য প্রজেক্ট রয়েছে। যাহাতে পালন করা হতো ২ হাজার ভেড়া। হঠাৎ জোয়ারের পানিতে ভেসে যায় ২ হাজার ভেড়াসহ গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, মহিষসহ প্রায় ১কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় ২২ জন খামারী গত রোববার কোম্পানীগঞ্জ থানায় ২৭টি জিডি করেন।

খামারীরা জানান, জাহাইজ্যার চর, চরবালুয়া ও ঠেঙ্গার চরের গরু, মহিষ জোয়ারের তোড়ে চট্টগ্রামের মীরস্বরাই, শীতাকুন্ড, স্বন্দ্বীপ, নোয়াখালীর উড়িরচর ও হাতিয়া, ফেনীর সোনাগাজী ও কক্সবাজার জেলায় ভেসে গেছে বলে খবর পাওয়া যায়। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারী, গবাধী পশু খামারীদের পরিবারে চলছে আহাজারি। অনেকেই তাদের জীবনের সহায় সম্বল বিক্রি করে মৎস্য খামার, গবাধী পশু খামারে বিনিয়োগ করে আজ তারা পথের ভিখারী। বর্তমান সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ এ সমস্ত খামারীদের পাশে দাঁড়াবেন বলে আশা করেন অত্র এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারীরা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ