শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

২৮ অক্টোবরের শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না -শিবির সেক্রেটারি জেনারেল

২৮ অক্টোবর ঐতিহাসিক পল্টন ট্রাজেডি দিবস ও শহীদ মুজাহিদুল ইসলামের শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা কামনা করে ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিম আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসেন -সংগ্রাম

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, বাংলার জমিন থেকে ইসলামী আন্দোলনকে নির্মূল করে দিতে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নারকীয় বর্বরতার জন্ম দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। নির্বিচারে হত্যা করেছিল জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যে সফল হয়নি। শহীদেরা জীবন দিয়ে তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছিল। তাই শহীদেরা আমাদের প্রেরণার সুউচ্চ মিনার। ২৮ অক্টোবরের শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না।
গতকাল রোববার রাজধানীর এক মিলনাতনে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিম শাখা আয়োজিত ঐতিহাসিক পল্টন ট্রাজেডি দিবস ও শহীদ মোজাহিদুল ইসলামের শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি ডাঃ মুজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহানগরী সাংগঠনিক সম্পাদক যোবাইর হোসেন রাজনসহ মহানগরী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিবির সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, সেদিন দেশের রাজনীতির ইতিহাসে নৃশংস, হৃদয় বিদারক, লোমহর্ষক ও মানব ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করে আওয়ামী লীগ। সেদিন প্রকাশ্যে রাজপথে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করে আওয়ামী লীগ বর্বরতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা শুধু বাংলাদেশই নয় বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। পিটিয়ে হত্যা করে মৃত লাশের উপর নৃত্য করা কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষে সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ এ ঘটনার মধ্যদিয়ে নিজেদের প্রকাশ্য জঙ্গি রুপ প্রদর্শন করেছে। যেসব সন্ত্রাসী সেদিন হায়েনার রূপ ধারণ করে মুজাহিদ, শিপনদের শহীদ করেছে, তারা আজো বাংলাদেশের মাটিতে সক্রিয় থেকে তান্ডব চালাচ্ছে। ২৮ অক্টোবরের আত্মস্বীকৃত খুনী বাপ্পাদিত্য বসু’রা বিচারের মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা পাচ্ছে। ফলে তারা আরো উৎসাহের সাথে অপরাধ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে গুপ্ত হত্যা সহ সকল অপরাধ প্রবণতা সেই বিচারহীনতার সংস্কৃতিরই ফসল বলে দেশের জনগণ মনে করে। এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ ও হত্যাকারীদের মদদ দেয়া আমাদের জাতিসত্তা, দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব, ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধের বিরুদ্ধে গভীর এবং সুদুর প্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ। জাতি এ নৃশংসতা কখনোই ভূলবে না। এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের বিচার বাংলার জমিনেই হবে।
তিনি বলেন, ২৮শে অক্টোবরের পরেও রাষ্ট্রীয় ও দলীয় শক্তি ব্যবহার করে নৃশংসতা চালিয়েছে তারা। উদ্দেশ্যে একই, আর তা হলো জমিন থেকে ইসলামী আন্দোলনকে নির্মূল করে দেয়া। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে প্রমাণ হয়েছে তাদের এই পরিকল্পনা বুমেরাং হয়েছে। বাংলাদেশের যেসব প্রান্তরে শহীদের খুন ঝরেছে, সেসব প্রান্তরেই আন্দোলন গতিশীল হয়েছে। আমরা খুনিদের স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিতে চাই, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে জুলুম নির্যাতন করে ন্যায় প্রতিষ্ঠার পথ থেকে একবিন্দু পরিমাণও সরানো যাবে না। বরং শহীদেরা আমাদের প্রেরণার সুউচ্চ মিনার। ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণে যে কোন ত্যাগ স্বীকারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ