শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

‘সুবোধ’ চিত্রকর্ম আঁকার সঙ্গে জড়িত এক শিল্পীসহ তিনজন গ্রেফতার

রাজধানীর আগারগাঁও, মহাখালী ও পুরাতন বিমানবন্দরের দেয়ালে দেয়ালে এরকম ‘সুবোধ’ সিরিজের বেশকিছু গ্রাফিক্স আঁকা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বিভিন্ন দেয়ালে বহুল আলোচিত ‘সুবোধ’ চিত্রকর্ম (গ্রাফিতি) আঁকার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে এক শিল্পীকে দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ওই শিল্পী ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার কথা জানালেও তাদের তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, ষড়যন্ত্র ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় অভিযোগ এনে মামলা করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, তোর ভাগ্যে কিছু নেই, সুবোধ তুই পালিয়ে যা- এখন সময় পক্ষে না, সুবোধ তুই পালিয়ে যা ভুলেও ফিরে আসিস না! সুবোধ, কবে হবে ভোর?...’। এ রকম রহস্যজনক কিছু বক্তব্য তুলে ধরে রাজধানীর আগারগাঁও, মহাখালী ও পুরাতন বিমানবন্দরের দেয়ালে দেয়ালে ‘সুবোধ’ সিরিজের বেশকিছু গ্রাফিক্স আঁকা হয়েছে। তবে কারা কী উদ্দেশ্যে এই প্রচারণা চালাচ্ছেন তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ‘সুবোধ বালক’ রূপকারদের খোঁজে মাঠে নামে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিছুদিন থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে দেয়ালে দেয়ালে এ ধরনের গ্রাফিতি চিত্র আঁকা হয়েছে। ধাপে ধাপে লেখাগুলো পর্যালোচনা করলে মনে হবে অন্ধকার থেকে আলোর পথে বা আলোর সন্ধানে ‘সুবোধ’ চরিত্রের একজন ছুটছেন।
আবার প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করা এ সুবোধ কোনো একজন ব্যক্তি নন। এটি সমাজ, রাষ্ট্র কিংবা জনগণকে ইঙ্গিত করে বৃহত্তর অর্থে বোঝানো হয়েছে। বলার চেষ্টা করা হয়েছে, সুবোধ চরিত্রটি খুব কষ্টে আছে। সেখান থেকে মুক্তি পেতে সে প্রহর গুনছে। সময় পক্ষে নেই বলে একবার তাকে পালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পরের আঁকা গ্রাফিতি-তে বলা হয়েছে, ‘সুবোধ কবে হবে ভোর? সুবোধ চরিত্রের বিক্ষুব্ধ ব্যক্তির হাতে আছে খাঁচাবন্দী সূর্য। তার পাশে আছে একটি শিশু। যাকে সে বলছে- কবে হবে ভোর?।
সবশেষে আঁকা গ্রাফিতিতে কোনো মন্তব্য নেই। তবে সেখানে দেখানো হয়েছে, খাঁচাবন্দী সূর্য বেরিয়ে আসার অপেক্ষায়। তার সামনে ভোরের আগমনী হিসেবে মোরগ ডাকার অঙ্গভঙ্গির প্রতীকী চিত্র দেখানো হয়েছে।
এই গ্রাফিতির বিশ্লেষণ করতে গিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কিছুটা নড়েচড়ে বসেছেন। সূত্রমতে গোয়েন্দাদের ধারণা, এসব গ্রাফিতি আর যাই কিছু হোক এর যারা রূপকার তাদের নিশ্চয় কোনো না কোনো উদ্দেশ্য আছে।
এ উদ্দেশ্য জানতে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থার চৌকস টিম মাঠে নামে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, সরকারের বিরুদ্ধে একটি বিশেষ চক্র এমন গ্রফিতির জন্ম দিয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ