বটিয়াঘাটার দু’টি সড়কের বেহাল দশা
খুলনা অফিস: খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা ডেভলপমেন্ট এলাকার জলমা ইউনিয়নের চক্রাখালী হয়ে ছয়ঘরিয়া স্কুল অভিমুখে কালিদাস টিকাদার সরণি রাস্তাটির বিটুমিন উঠে গিয়ে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যানবাহন সহ পথচারীরা ঝুঁকির মধ্য দিয়ে চলাফেরা করছে। যে কোন মুহূর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সূত্রে প্রকাশ, উপজেলা জন গুরুত্বপূর্ণ চক্রাখালী কালিদাস টিকাদার স্মরণী রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মওসুমে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। উক্ত জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত ছাত্র-ছাত্রী চক্রাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ছয়ঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। পাশপাশি চাকুরীজীবি, শ্রমজীব, হাটুরে ও সাধারণ মানুষও এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। বর্তমানে রাস্তাটির বিটুমিন উঠে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। অপরদিকে জলমা-তেতুলতলা মৌজার কৃষকদের চাষাবাদ ও ফসল উৎপাদন সহ তেতুলতলা গ্রামের সাথে চক্রাখালী গ্রামের সাধারণ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ মল্লিকের মোড় এলাকার রাস্তাটি পানির সাথে মিশে চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। আমন মওসুমের পাকা ধান উত্তোলন করতে পারছে না কৃষকেরা। উপজেলার চক্রাখালী মল্লিকের মোড় এলাকার রবীন্দ্রনাথ ঢালীর মুদি দোকানের পাশ দিয়ে মরা কাজিবাছা নদীর উপর নির্মিত বাঁধটি জলাবদ্ধতার কারণে ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গত কয়েক বছর আগে উপজেলা পরিষদ ৫ টন টি,আর, বরাদ্দ দিয়ে সংস্কার করলেও আশানুরূপ কাজ না হওয়ায় বর্তমানে পথটি মরা কাজিবাছা নদীর সাথে মিশে গেছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পথটি মরা নদীর উপর দিয়ে নির্মিত। পথের দুই সাইডে কোন প্রকার ব্লক দেয়া হয়নি। মৎস্য খামারীদের মাছ চাষের কারণে পথটি ভেঙ্গে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে পথটির দুই সাইডে ব্লক দিয়ে সংস্কার করা প্রয়োজন। তা নাহলে কৃষকরা তাদের আমন ধান কেটে আনতে ভীষণ অসুবিধায় পড়বে। এ ব্যাপারে এলাকার সাধারণ মানুষ পথটি সংস্কারের জন্য উপজেলা পরিষদ সহ স্থানীয় সংসদ সদস্যের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।