শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের অর্থের যোগান দিতেই অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়েছে সরকার

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর গতকাল রোববার বিক্ষোভ মিছিল করে -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার : বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল রোববার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলেছে। বর্তমান সরকারের আমলেই বিদ্যুতের দাম ৮ বার বাড়ানো হয়েছে। ফলে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কিন্তু দেশপ্রেমী জনতা সরকারের এই গণবিরোধী ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত কোনভাবেই মেনে নেবে না। তিনি হঠকারিতা পরিহার করে অবিলম্বে বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় জনগণ জুলুমবাজ ও গণবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর ১ নং গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাইনিজ মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, নাসির উদ্দীন, আশরাফুল আলম, আব্দুল্লাহ মুয়াজ, জোবায়ের, আলাউদ্দীন মোল্লা, আবুল হাসান, ডা. শফিউর রহমান ও মুস্তাফিজুর রহমান এবং শিবিরের ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি আব্দুল আলীম প্রমুখ।
মাহফুজুর রহমান বলেন, বিশ^বাজারে তেলের মূল্য কমে যাওয়ায় বিদ্যুতের দাম আনুপাতিক হারে কমে যাওয়াই যৌক্তিক হলেও সরকার প্রতি ইউনিটের অনুকূলে দাম বাড়িয়েছে ৩৫ পয়সা। যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য গোদের উপর বিষফোঁড়া হিসেবে দেখা দেবে। বর্তমান সরকারের আমলে ভোক্তা পর্যায়ে পাইকারি ও খুচরা মিলিয়ে মোট ৮বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৫ সালে সেপ্টেম্বরে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। মূলত ২০১০ সালের ১ মার্চে গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ানো হয় ৫ শতাংশ। ২০১১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পাইকারি ও গ্রাহক দুই পর্যায়েই বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে পাইকারিতে ১১ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৫ শতাংশ। একই বছরের ১ আগস্ট পাইকারি পর্যায়ে বাড়ানো হয় ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এছাড়া সে বছরের ১ ডিসেম্বর পাইকারিতে ১৬ দমমিক ৭৯ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। ২০১২ সালে ১ ফেব্রুয়ারি পাইকারি পর্যায়ে ১৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৭ দশমিক শূণ্য ৯ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। এরপর ওই বছররের ১ সেপ্টেম্বর পাইকারি পর্যায়ে ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ১৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাইকারি পর্যায়ে ৬ দমমিক ৯৬ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর পাইকারি পর্যায়ে ২ দশমিক ৯ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। যা সরকারের গণবিরোধীতাই প্রমাণ করে।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট মহল লোকসানের অজুহাত তুলেছে। যা মোটেই বাস্তব সম্মত নয়। আসলে সরকার গণপ্রতিনিধিত্বশীল নয় বলেই তারা জনগণের কল্যাণে কোন কাজ না করে লুটপাটকে নির্বিঘœ করতেই দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। জনগণের ক্রয় ক্ষমতা না বাড়লেও দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি এখন লাগামহীন। মূলত এই গণবিরোধী ও অগণতান্ত্রিক সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে জনদুর্ভোগ বাড়বে বৈ কমবে না। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই এই স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে। তিনি জুলুমবাজ সরকারের পতনের লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ: রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। ঢাকা মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য শামসুর রহমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি সকাল ৯টায় ধানমন্ডি সিটি কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শামসুর রহমান বলেন, আওয়ামী সরকার তাদের সীমাহীন দুর্নীতি ও লাগামহীন লুটপাটের অর্থের যোগান দিতেই সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের ১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত মোট আটবার বিদ্যুতের খুচরা দাম বাড়ানো হয়। এবার আরেক দফা বাড়ানো হলো বিদ্যুতের দাম। এই দফায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে জীবনযাত্রার ব্যয় যেমন বাড়বে, তেমনি ব্যবসা বাণিজ্যেও পড়বে এর বিরূপ প্রভাব। বাড়বে উৎপাদন খরচও। ফলে সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ফলে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
তিনি আরোও বলেন, দেশে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। একদিকে অকাল বন্যায় হাওর অঞ্চলের কৃষকদের সীমাহীন দুর্ভোগ, বন্যায় উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশের মানুষের মধ্যে হাহাকার, এমনিতেই চাল, ডাল, তেল, নুন, পিয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত। এরপর বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা মরার উপর খাড়ার ঘা’র সামিল। তাই সাধারণ জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে সরকারকে বিদ্যুতের মতো জরুরি প্রয়োজনীয় সেবা খাতের ব্যাপারে জনবান্ধব নীতি গ্রহন করতে হবে এবং অবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
শামসুর রহমান বলেন, বিশ্ববাজারে অনেক দিন থেকেই জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী। দেশীয় বাজারেও ফার্নেস অয়েলের দাম কমানো হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমে গেছে। দেশে গ্যাসভিত্তিক কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুতের দাম কমার কথা। কিন্তু দাম না কমিয়ে উল্টো বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর উদ্যোগ কেন নেয়া হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। বিদ্যুতের দাম বাড়লে সব রকম দ্রব্যমূল্য ও সেবামূল্যের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। আর শেষ পর্যন্ত তা বহণ করতে হয় জনসাধারণকে। তাই সাধারণ মানুষের সামর্থ্য ও জনস্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি তিনি জোর দাবি জানান। অন্যথায় সরকারকে গণরোষে পড়তে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ কামাল হোসাইন, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক নুর নবী, এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, আমিনুর রহমান, মতিউর রহমান, মহিব্বুল্লাহ ফরিদ, মাহবুবুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্ব সভাপতি সোহেল রানা মিঠু, ঢাকা কলেজ সভাপতি মেহেদি হাসান সানি, ঢাকা মহানগরী দক্ষিন সেক্রেটারী মু. মাসুম তারিক, জামায়াত নেতা মুতাসিম বিল্লাহ, আব্দুস সাত্তার সুমন, ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল মারুফ, সাইয়েদ মু. জুবায়ের সহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা জেলা উত্তর: সকাল ৯টায় সাভারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা উত্তর শাখার রাজনৈতিক সেক্রেটারী এড. শহিদুল ইসলামে নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌরসভা জামায়াতের সেক্রেটারী, জামায়াত নেতা তাহসিন আহমদ,ফজল আহমদ, আনোয়ার হোসেন, শিবির নেতা মাছুম বিল্লাহ, নাহিদ আল হাসান প্রমুখ।
 মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা : মেহেরপুর জেলা জামাতের উদ্যোগে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এর দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে, গাংনী, মুজিবনগর উপজেলার চত্তরে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আমীর খানজাহান আলী, সেক্রেটারি মোশারফ হোসেন। মেহেরপুর সদরের বিক্ষোপ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জামাতের সেক্রেটারী মাওলানা মাহাবুবুর আলম। আরো বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর পৌর আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান, সামসুল ইসলাম, আবজাল ইসলাম। বক্তারা বলেন বিদ্যুৎ এর দাম বাড়ানোর কারন এ দ্রব্য মুল্য দাম হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে নি¤œ আয়ের মানুষদের জীবন যাত্রা ব্যহত হচ্ছে।
কুমিল্লা অফিস : বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিও প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতে ইসলামী।
গতকাল রবিবার নগরীর রানীর বাজার এলাকার মিছিলটি শেষ করে অশোকতলা গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ করে।
মিছিলের নেতৃত্বেদেন কুমিল্লা মহানগরী মহানগরী জামায়াত নেতা আবদুল কাইয়ুম মজুমদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা তাসলিমুর রহমান মিয়াজী,কাজী নজীর আহম্মেদ,মহানগরী ছাত্রশিবির সভাপতি শাহাদাত হোসাইন,সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান মজুমদারসহ আরো অনেকে।
ফেনী সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সরকারের বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে ফেনীতে গতকাল রবিবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ফেনী শহর জামায়াতে ইসলামী। বিক্ষোভ মিছিলে জামায়াতে-শিবিরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি শহরের ট্রাংক রোড থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ঘোষণার প্রতিবাদ এবং এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, এমনিতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য-মূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। এরি মধ্যে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত  জনগণের উপর চরম জুলুম ও নির্যাতন এবং শোষণ ছাড়া আর কিছুই নয়। যেহেতু বিশ্বব্যাপী জ¦ালানি তেলের দাম সর্বনি¤œ পর্যায়ে রয়েছে, সেহেতু বিদ্যুতের দামও কমানোর সুযোগ রয়েছে। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ফলে জনগণের ভোগান্তি আরও বাড়বে। এ সরকার জনগণের নির্বাচিত নয় বলেই বারবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত একের পর এক চাপিয়ে দিচ্ছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সরকারকে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের মজলিশে শুরা সদস্য  এম. জে. হোসেনের সভাপতিত্বে পাঁচলাইশে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা এম.এস. চৌধুরী, এম.কে. আনোয়ার, ছাত্র শিবির নেতা আনোয়ার, জহুর, ফয়েজ, এফ ইসলাম প্রমূখ। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এক প্রতিবাদ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
খুলনা অফিস : আগামী পয়লা ডিসেম্বর থেকে বিদ্যুতের মূল্য প্রতি ইউনিটের জন্য গড়ে ৩৫ পয়সা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ঘোষণার প্রতিবাদে এবং এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবিতে খুলনায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রোববার নগরীতে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন খুলনা মহানগরী জামায়াত নেতা এম এম রহমান। উপস্থিত ছিলেন এন উদ্দীন, শিবির নেতা মোশাররফ আনসারী, মো. হেলাল উদ্দীন, এ হায়দার, আবু যুবায়ের, এ খালেক, এ জামান, বি এম রফিক প্রমূখ। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগণকে অর্থনৈতিকভাবে শোষণ করার জন্যই সরকার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আগামী পয়লা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করার যে ঘোষণা সরকার দিয়েছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের তীব্র কষাঘাতে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগণের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠেছে। তার উপর আবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সরকার জনগণের মাথায় বোঝার উপর শাকের আঁটি চাপিয়ে দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এ অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহবান জানান।
যশোর সংবাদদাতা : বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল রোববার দুপুরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দলটির শহর শাখা। মিছিলে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মিছিল থেকে বিদ্যুৎসহ নিত্যপন্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শ্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিল থেকে অবিলম্বে বিদ্যুৎসহ সকল পণ্যেরও মূল্য কমানোর দাবি জানান হয়।
সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা : বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রবিবার সকাল ৭টায় সিরাজগঞ্জ শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এসএম সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিলটি শহরের এসবি ফজলুল হক রোডের কাঁচা বাজারের সামনে থেকে শুরু হয়ে পাঁচ রাস্তায় গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন শহর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আশরাফুল আলম, জামায়াত নেতা মইনুল হক, আরিফুল ইসলাম, শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও  সেক্রেটারিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কেরানীগঞ্জ : বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা দক্ষিণ। শিবির জেলা সভাপতি বিজয় আহমেদের নেতৃত্বে মিছিলটি কদমতলী থেকে শুরু হয়ে বাবু বাজারের ব্রীজে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। এতে অন্যানের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন শিবির জেলা সেক্রেটারি বুলবুল আহমেদসহ জামায়াত শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা কর্মীরা।
টাংগাইল সংবাদদাতা : বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল রোববার টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে টাংগাইল শহর জামায়াতে ইসলামী। টাঙ্গাইল শহর আমীর মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি রোববার বিকাল ৩টায় পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এর সামনে থেকে শুরু হয়ে পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে টাইঙ্গাল শহর আমীর মিজানুর রহমান বলেন, আওয়ামী সরকার তাদের সীমাহীন দুর্নীতি ও লাগামহীন লুটপাটের অর্থের যোগান দিতেই সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করছে। বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন টাংগাইল সদর থানার আমীর শহিদুল ইসলাম, শহর জামায়াতের সেক্রেটারি হাফিজুর রহমান, সদর পূর্ব জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন বাদল,  ছাত্রশিবিরের টাঙ্গাইলের শহর সভাপতি মুফিকুর রহমান, অফিস সম্পাদক মু নূর মুহাম্মদ, ছাত্রনেতা নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
বগুড়া অফিস : দফায় দফায় বিদ্যুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বগুড়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াত। জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার উদ্যোগে গতকাল রোববার সকালে শহরতলীর ঘুনিয়াতলা থেকে জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জামায়াত নেতারা বলেন, সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে বলেই জনগণের কষ্টের কথা ভাবছে না। দফায় দফায় বিদ্যুৎ ও নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ দিশাহীন হয়ে পড়েছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ সীমাহীন কষ্টে জীবন যাপন করছে। কিন্তু সরকার জনগণের কষ্টের কথা না ভেবে নিজেদের পকেট ভরায় ব্যস্ত রয়েছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বিদ্যুৎসহ সকল নিত্যপণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।
রাজশাহী অফিস : বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরী শাখার উদ্যোগে গতকাল রোববার সকালে রাজশাহীর কোর্টবাজার এলাকায় এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলউত্তর সমবেশে জামায়াত নেতৃবৃৃন্দ বলেন, দফায় দফায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও সিএনজি’র মুল্য বৃদ্ধির প্রভাবে দ্রব্যমুল্য ও জীবন যাত্রার ব্যায় বেড়েছে বহুগুন। বাড়তি ব্যায় মেটাতে সাধারণ মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে তখনও এই সরকার বেপরোয়া। জ্বালানি খাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনও পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রনে। তারা জনস্বার্থ বিসর্জন দিয়ে সরকারকে তুষ্ট করতে ব্যস্ত। সংস্থাটির প্রধান এখন জ্বালানি উপদেষ্টার কাছে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন। ফলে অসহয় হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ¦ালানি ভোক্তারা। জামায়াত নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এই অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই চলছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির মহোৎসব। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার তাদের রাজনৈতিক দর্শন হিসেবে যে কোন প্রতিবাদকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাত করার অপচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক ফায়েদা হাসিলের চেষ্টায় লিপ্ত। বর্তমান সময়ে দেশে সুশাসন বলতে কিছু নেই। সব ক্ষেত্রে বিরাজ করছে নির্মম প্রহসন ও ভয়াবহ জুলুম। সরকারের বুঝা উচিত মানুষের ধৈর্যের একটি সীমা আছে এবং জনগন একসময় সব বাধা উপেক্ষা করে ঐক্যবদ্ধহয়ে রাজপথে এর প্রতিবাদ করবে। নেতৃবৃন্দ সরকারের বিদ্যুতের মুল্য বৃদ্ধির এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
জামালপুর সংবাদদাতা : দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জামালপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জামালপুর জেলা শাখা। গতকাল রোববার জামায়াতের জেলা আমীর কবির আহম্মদ হুমায়ুনের নেতৃত্বে  শহরের লম্বা গাছ এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষীণ শেষে শফি মিয়া বাজারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জামায়াতের জেলা আমীর কবির আহম্মদ হুমায়ুন, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক হারুন রশিদ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন জামালপুর জেলা শাখার সভপতি মির্জা আব্দুল মাজেদ ,জামায়াতের শহর আমীর সুলতান মাহমুদ, শিবিরের জেলা সভাপতি মো. মোকাদ্দেস আলী প্রমুখ।
সিলেট ব্যুরো : সিলেট মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, সরকার সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত ও দুর্বিসহ করে তুলেছে। সরকারের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত দেশের মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশ্ববাজারে জ্বালানী তেলের দাম বেশ কমলেও সরকার জনগণের রক্ত চোষার জন্যই সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য কমে যাওয়ায় বিদ্যুতের দাম আনুপাতিক হারে কমে যাওয়ার যৌক্তিকতা তাকলেও সরকারি ঘোষণায় এখন বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে বাড়বে ৩৫ পয়সা। যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা’র মতো। অবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্য বিরোধীর মতো গণবিরোধী সিদ্ধান্ত সরকারকে বাতিল করতে হবে।
তিনি গতকাল রোববার সরকার কর্তৃক সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ও অবিলম্বে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন- সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী  সেক্রেটারি মোঃ শাহজাহান আলী, জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ আল মুনিম, এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, মু. আজিজুল ইসলাম, চৌধুরী আব্দুল বাছিত নাহির ও ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর  সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা: অন্যায়-অযৌক্তিকভাবে বার বার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিন্ধান্তের প্রতিবাদে, অবিলম্বে এ সিন্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবিতে  বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী। আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে বিদ্যুতের মূলবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং এসিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর মুন্সীগঞ্জ জেলা আমীর বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিক। এ সিদ্ধান্ত দেশের মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগণের জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের শামিল।
তিনি আরোও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের তীব্র কষাঘাতে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগণের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠেছে। তার উপর আবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সরকার জনগণের মাথায় বোঝার উপর শাকের আটি চাপিয়ে দিয়েছে। বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ও বাসা ভাড়া আরো বাড়বে এবং কৃষি ও শিল্প খাতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। ফলে দেশের উৎপাদন ব্যাহত হবে।
অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির এ গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা: নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলা শাখা। কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে পৃথকভাবে মিছিল দুটি করা হয়। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা জামায়াতে ইসলামী। এসময় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ করে শহরের ডিআইটি এলাকায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ