শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ডুমুরিয়ায় ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের

ডুমুরিয়া (খুলনা) সংবাদদাতা : ডুমুরিয়ায় মাগুরাঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে মামলা করার কারণে বাদী ও তার পরিবাবকে জীবন নাশের হুমকী দেয়া হচেছ।
প্রাপ্ত মামলার বিবরণে জানাযায়, ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা গ্রামের বিকাশ চন্দ্র দাসের একমাত্র কন্যা ও মাগুরাঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী সাগরিকা দাস (১৫) প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া আসার পথে একই উপজেলার মালতিয়া গ্রামের পাচু দাসের পুত্র বিশ্বজিৎ দাস (২৪) তাকে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন ধরণের কু-প্রস্তাব দিত। এঘটনা সাররিকা তার পিতা বিকাশ দাসকে জানালে তিনি বিশ্বজিতের পিতাকে ঘটনাটি খুলে বলেন। কিন্তু বিশ্বজিতের পিতা পুত্রের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় এবং তার পিতার কাছে অভিযোগ করায় সে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে।
এমতাবস্থায় গত ১৩নভেম্বর সকালে সাগরিকা বাড়ি থেকে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে স্কুলে রওনা হয়ে জনৈক আশরাফ হোসেনের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে ফাঁকা স্থানে পৌছুলে বিশ্বজিৎ সহ আসামীগনের সহায়তায় তার কন্যা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৩টি মোটর সাইকেল যোগে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দীর্ঘ প্রায় ১মাস অতিবাহিত হলেও তার কন্যার সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিরুপায় হয়ে অপহৃত সাগরিকার পিতা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে ডুমুরিয়া থানায় ২২নং একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন মালতিয়া গ্রামের পাচু দাসের পুত্র বিশ্বজিৎ দাস (২৪) ও মিঠুন দাস(২২),তার জামাই গোবিন্দ দাস(৪০),মাগুরাঘোনা গ্রামের মৃত পুলিন দাসের পুত্র মধু দাস(৩৫) ও পরিতোষ দাস(৪০) ও মৃত নগেন দাসের পুত্র সাধন দাস(৩৫)। এদিকে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে পিতা বিকাশ চন্দ্র দাস মামলা করায় আসামীরাসহ বিশেষ করে মাগুরাঘোনা গ্রামের অজিত দাসের পুত্র রতন দাস এবং ৫নং আসামী কুখ্যাত মৃণাল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড পরিতোষ দাস মামলা করার কারণে বাদীসহ তার পরিবাবকে বিভিন্ন ধরণের হুমকীসহ জীবন নাশের হুমকী দেয়া দিচ্ছে। ফলে বাদী সহ তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এব্যাপারে ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাবিল হোসেন বলেন,মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ