শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কেসিসির মানববর্জ্যে ব্যবস্থাপনা কৃষি উৎপাদন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে

খুলনা অফিস : দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর খুলনা। রূপসী রূপসা ও ভৈরবের কোল ঘেঁষে এর অবস্থান। শহরটির গড় সমুদ্রতল থেকে ৪মিটার উপরে এবং যার আয়তন ৪৫ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার। প্রস্তাবিত ৮৫.৩০ কিলোমিটার। এই শহরে প্রায় ১৫ লাখ লোকের বসবাস। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বাস করছেন ৩২ হাজার ৯শ’ জন। ৩১টি ওয়ার্ডে ৬৮ হাজার ২৭৭টি পরিবার বাস করছেন। সিটি কর্পোরেশন সাধ্যমত নগরবাসীর সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। নগরীতে প্রতিবছর ৭১০ হাজার লিটার মানব বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এ বর্জ্য অপসারণ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে খুলনা সিটি কর্পোরেশন কাজ করছে।
সূত্র জানিয়েছে, নগরীর প্রাণকেন্দ্র থেকে মাত্র ৬কিলোমিটার দূরে রাজবাঁধ এলাকায় ১.৩ একর জমির ওপর সিটি কর্পোরেশন নির্মাণ করছে মানববর্জ্য শোধনাগার। সেখানে কেসিসি’র ঘর গৃহস্থালির আবর্জনা ফেলার জন্য ল্যান্ডফিল্ড সাইট রয়েছে। গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে পরিক্ষামূলকভাবে। ভরাট করা স্থানে ধ্বস বা গ্যাস নির্গমনসহ কিছু ঝুঁকি রয়েছে। এ জন্য শোধনাগারটি জিওটেক্সটাইল ও এইচডিপিই (হাই ডেনসিটি পলিথিন) সিট ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ শোধনাগারটির নকশা, নির্মান ও পরিচালনায় কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছে। এটি নির্মাণ করা হয়েছে কন্সট্রাকটেড ওয়েটল্যান্ড ও ড্রায়িং বেড এ দুটি প্রযুক্তির সমন্বয়ে। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে এর কার্যক্রম চালু হয়েছে। সেফটিক ট্যাংক বা পিটের মল অপসারণের জন্য খুলনা সিটি কর্পোরেশন ৫টি অত্যাধুনিক ভ্যাকুটাগ রয়েছে। এর ধারণ ক্ষমতা ১৮০ হাজার লিটার। এজন্য বরাদ্দ ছিল ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ