বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

খুলনায় কাস্টমস কর্মকর্তা মঈনুলের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ॥ তদন্ত শুরু

খুলনা অফিস : কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট খুলনার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মঈনুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ উঠেছে। তিনি আত্মীয়তার সুযোগ নিয়ে অন্যের স্ত্রীকে প্রলোভন দিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন বলেও অভিযোগে প্রকাশ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে গৃহবধূ সনিয়া আক্তার তমার স্বামী ইব্রাহীম শেখ কাস্টমস কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

এদিকে, কাস্টমস কর্মকর্তা মঈনুলের বিরুদ্ধে এর আগে ওঠা স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যেই তার স্ত্রী সাউদিয়া আক্তার দোলনের মৌখিক শুনানিও গ্রহণ করা হয়েছে।

কাস্টমস কমিশনার বরাবর দেয়া লিখিত অভিযোগে গৃহবধূ সনিয়া আক্তার তমার স্বামী ইব্রাহীম শেখ উল্লেখ করেন, তিনি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নোয়াগ্রাম গ্রামে বসবাস করেন। তিনি ২০১৪ সালের ২৮ মার্চ ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক সনিয়া আক্তার তমাকে বিবাহ করে ঘর সংসার করছিলেন। সুখের সংসারের মাঝে অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রামের আবুল হাসানের পুত্র এবং বর্তমানে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট খুলনার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম তার স্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে মাঝে মধ্যে তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতে থাকে, মোবাইলেও কথা বলে। এক পর্যায়ে মঈনুল তার স্ত্রীকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে। তিনি স্ত্রীকে আনতে গেলে মঈনুল তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইব্রাহীম শেখ ৩ ডিসেম্বর কাস্টমস কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম বলেন, তিনি ইব্রাহীম শেখ নামে কাউকে চেনেন না। তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়।

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট খুলনার সূত্র জানান, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মঈনুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্ত করা হয়। তারই অংশ হিসেবে মৌখিক শুনানিতে হাজির হতে গত ২১ নবেম্বর এসিসট্যান্ট কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত নোটিশ ইস্যু করা হয়। সে মোতাবেক তার স্ত্রী সাউদিয়া আক্তার দোলনের ২৭ নবেম্বর শুনানিতে অংশ নেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে বলেও শুনানিতে উল্লেখ করেন তিনি।

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ