শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

জনবল ও যানবাহন সঙ্কটে রয়েছে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

খুলনা অফিস : খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পর্যাপ্ত জনবল ও যানবাহন সঙ্কটে রয়েছে। মাত্র ১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে এই অধিদপ্তরটি। এ রকম সঙ্কটের মধ্যে দিয়েই গত এক বছরে এ সংস্থাটি মোবাইল কোর্ট মিলে ৯০৩টি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময়ের মধ্যে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। আসামী করা হয় ২৮৫ মাদক ব্যবসায়ীকে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ২০১৭ সালে ‘ক’ ও ‘খ’ এবং গোয়েন্দা বিভাগ মিলে ৯০৩টি অভিযান পরিচালনা করেন। যার মধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় ৯২টি। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন মাদক থাকার অভিযোগে ২৮৫ জন মাদক বিক্রেতার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ও নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। যার মধ্যে নিয়মিত মামলার সংখ্যা রয়েছে ১৯৩টি। গত এক বছরে ইয়াবা ৭ হাজার ৭৫৮ পিস, ফেনসিডিল ৩১৪ বোতল, গাঁজা ২৮ কেজি ৭৫০ গ্রাম, বিয়ার ১৪ ক্যান, হেরোইন ১১ দশমিক ৫ গ্রাম, চোলাই মদসহ বিভিন্ন মাদক উদ্ধার করেন। এছাড়া মাদক বিক্রির ৪১ হাজার টাকা জব্দ করেন। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় সূত্র মতে, ওই কার্যালয়ে উপ-পরিচালকসহ ২৪টি পদের সংখ্যা রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে সংস্থাটি পরিচালনা করা হচ্ছে। বর্তমানে একজন পরিদর্শক, ৬ জন সিপাহী, ১ জন হিসাবরক্ষক ও পরিচচ্ছন্ন কর্মী পদটি শূন্য রয়েছে। দীর্ঘ বছর ধরে ওই সব পদে শূন্য থাকায় বিশেষ করে পরিদর্শক ও সিপাহী না থাকায় অনেক সময় অভিযানে ব্যাঘাত হচ্ছে। গোয়েন্দা বিভাগের নিজস্ব যানবাহন না থাকার কারণে সময়মতো অভিযানে মুভ করতে পারছে না।

খুলনা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় এর উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, কয়েক বছর ধরে গোয়েন্দা বিভাগের কোন যানবাহন নেই। ‘ক’ ও ‘খ’ সার্কেলের বিপরীতে রয়েছে একটি গাড়ি। পূর্বে গোয়েন্দা বিভাগের গাড়িটি নষ্ট হওয়ার পর থেকে এ কার্যালয়ে নতুন করে গাড়ি পাওয়া হয়নি। যার কারণে অনেক সময় অভিযানে ব্যাহত হচ্ছে। সেই সাথে রয়েছে জনবলের সঙ্কট। জনবল ও যানবাহন সঙ্কট দূর হলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমও আরো গতিশীল হবে বলে তিনি মনে করেন। বিষয়টি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে খুব শিগগির পদক্ষেপ নেবেন বলে তিনি আশাবাদী।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ