বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পুলিশ-ছাত্রদল সংঘর্ষঃ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে আড়াইশজনের নামে মামলা

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা: চুয়াডাঙ্গায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা বের করতে গেলে পুলিশি বাধারমুখে ছাত্রদল-পুলিশ ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ শতাধিক নেতাকর্মী। এদের মধ্যে গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এমএইচ মোস্তফা ও তৌফিক এলাহী। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরিফ উর জামান সিজার, সোহেল মালিক সুজন, আলামিন, মওলা, ইমদাদ, তারিক, বকুল, রাজীব ও সোহেল রানা। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (অপারেশন) আমির আব্বাস, সেকেন্ড অফিসার এসআই মকবুল হোসেন, এসআই মিজানুর রহমান, কনস্টেবল রহিসুল, জসিম ও ডিবির কনস্টেবল সাদ আহমেদসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার ও সদস্য আহত হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সিজারসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ দু-আড়াইশ জনকে আসামি করে মামলা করলেও গতকাল বিকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। এছাড়া আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা, দর্শনা ও জীবননগরে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন হয়েছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের আহ্বানে সোমবার সকাল থেকেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন শুরু করে। জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শ্রীমন্ত টাউনহলে সমাবেত হতে শুরু করে। সেখান থেকে শোভাযাত্রা বের করে আবার ফিরে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ শোভাযাত্রার অনুমতি না দিয়ে শ্রীমন্ত টাউন হলে সংক্ষিপ্ত সমাবেশসহ কর্মসূচি পালনের জন্য মৌখিকভাবে বলে। সদর থানার এসআই মকবুল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শ্রীমন্ত টাউনহলের অদূরে শিল্পকলা একাডেমির মূল গেটের সামনে অবস্থান নেন। ছাত্রদলের শোভাযাত্রা বের করার জন্য জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক বুলা অনুমতি চাইলে পুলিশ তাতে সম্মত না হয়ে ভেতরেই অনুষ্ঠান করার কথা বলে। সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সিজারসহ কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মী পুলিশের কাছে গিয়ে শোভাযাত্রা বের করার অনুমতি চেয়ে না পেলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় পুলিশের বিরুদ্ধে ¯ে¬াগান শুরু করলে পুলিশ ছাত্রদলের ওপর লাঠিচার্জ করে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও পুলিশের ওপর পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে। এত পুলিশ শ্রীমন্ত টাউন হলের ভেতর ঢুকে বেপরোয়া লাঠিচার্জ শুরু করলে উপস্থিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পালানোর জন্য উঁচু প্রাচীর পার হতে গেলে কয়েকজন পা ভেঙে লুটিয়ে পড়ে।  পুলিশের লাঠির আঘাতে অনেকেই জখম হয়। আহতদের ভীড় বাড়তে থাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। আহতদের মধ্যে শতাধিক সদর হাসপাতালে এবং অন্যরা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ