শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

৭ম দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘটে ইবতেদায়ী শিক্ষকরা

গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে মাদরাসা জাতীয়করণের দাবিতে ষষ্ঠদিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট চলছে -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সব ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতি। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান করছেন সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা। গত ১ জানুয়ারি থেকে তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। আজ রোববার ৭ম দিনে পড়লো অবস্থান ধর্মঘট।
সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী গতরাতে  দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, রাত-দিন তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রাস্তায় অবস্থান করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থানে থাকবেন তারা।
তিনি আরও জানান, ১৯৯৪ সালে জারি হওয়া একটি পরিপত্রে রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিগত সরকারগুলোর আমলে ধাপে ধাপে বেতন বাড়তে থাকে। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো বেতন বাড়েনি ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের। ষষ্ঠ দিনের মত অবস্থান ধর্মঘটে ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি বর্তমান মহাজোট সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল জাতীয়করণ করে। কিন্তু ইবতেদায়ী মাদরাসাতেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সরকারি একই সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরাও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো সরকারের সব কাজে অংশগ্রহণ করে। অথচ মাস শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২৫-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পায়। কিন্তু ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা তেমন কোনও বেতন ভাতা পান না। তবুও তারা শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাত্র ১৫১৯টি ইবতেদায়ী মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ২৫০০ টাকা, সহকারী শিক্ষক ২৩০০ টাকা ভাতা পান। বাকি মাদরাসা শিক্ষকরা এত বছর ধরে বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত। এটা অমানবিক এবং শিক্ষকদের অবমাননা ছাড়া কিছুই না।
আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, আগামীকাল রবিবার শিক্ষামন্ত্রী এবং সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর স্মারকলিপি পাঠানো হবে। এরপরও আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
অবস্থান ধর্মঘটে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম ফরাজি, মহাসচিব কাজী মোখলেসুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আবু মুসাসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ