শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

৭ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী ফেলানি দিবস পালনের আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বব্যাপী সীমান্ত হত্যাবিরোধী ফেলানী দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক পরিষদ। ফেলানী হত্যার সপ্তম বার্ষিকীতে গতকাল রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফেলানী দিবস পালনকালে এ আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে নুরুল ইসলামের সামনে তার মেয়ে ফেলানীকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ গুলী করে হত্যা করে। হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের কোনো বিচার হয়নি। বাংলাদেশ বিচার পায়নি।
তিনি আরো বলেন, বিচার আর ক্ষতিপূরণের জন্য ঘুরছে ফেলানীর পরিবার। মানবাধিকার ও সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সীমান্তে দেড় হাজার বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে বিএসএফ। বারবার সার্বভৌমত্ব লংঘন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে সাধারণ নাগরিকদের ধরে নিয়ে যায় তারা। আমরা মনে করি, ফেলানী হত্যার বিচার না হলে সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে না। আমরা নাগরিক পরিষদ জাতিসংঘে স্মারকলিপি দিয়ে ৭ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী সীমান্ত হত্যাবিরোধী ফেলানী দিবস পালন করার আহ্বান জানিয়েছি।
সীমান্ত হত্যাবিরোধী ৭ জানুয়ারি ফেলানী দিবস পালনে জাতিসংঘে প্রস্তাব আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
এ সময় কিছু দাবি জানায় নাগরিক পরিষদ। দাবিগুলো হচ্ছে- ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ফেলানী দিবস পালন করা, ফেলানীর পরিবারকে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ফেলানী হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া, সার্বভৌমত্বের লংঘন বন্ধ করা, কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তের নাম ফেলানী সীমান্ত করা, ঢাকার গুলশান-১ থেকে তেজগাঁও রাস্তার নাম ফেলানী সরণী করা, বাংলাদেশকে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে বেরিয়ে আসা এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- নাগরিক পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শাহ মো. নেয়ামত উল্লাহ, সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুদ্দিন মনি, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. হারুন অর রশীদ খান, মানবাধিকার নেতা মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন আহমেদ, যুবনেতা মাসুদ রানা প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ