দাবি আদায়ে আজ থেকে আমরণ অনশনে যাচ্ছেন ইবতেদায়ী শিক্ষকরা
স্টাফ রিপোর্টার : দাবি আদায় না হলে আজ মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা। গতকাল সোমবার সকালে আমরণ অনশনে যাওয়ার এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতি। বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরী বলেন, আজকে আমরা ৩৪ বছর ধরে এই বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত। ৫০ হাজার শিক্ষক ৩৪ বছর ধরে একটি পয়সাও বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। মঙ্গলবার (আজ) সকাল ১০টা পর্যন্ত যদি আমাদের কাছে কোনো কিছু না আসে, তাহলে আমাদের সিদ্ধান্ত ১১টা থেকে আমাদের আমরণ অনশন চলবে।
অবস্থান নেয়া শিক্ষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসায় কাজ করেও তারা তাদের প্রাপ্য বেতন ভাতা বুঝে পাননি। তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা যেভাবে পাঠ দান করেন, একইভাবে তারাও শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন। তাছাড়া প্রাইমারি স্কুল যে মন্ত্রণালয়ের অধীনে, তারাও সেই মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করেন। অথচ প্রাইমারি স্কুলের আগে রেজিস্ট্রেশন পেলেও তারা এখনো তাদের প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করতে পারেননি। অবিলম্বে তাদের প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ না করলে আমরণ অনশনের হুমকি দেন মাদরাসা শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব কাজী মোখলেসুর রহমান বলেন, প্রাইমারি এবং ইবতেদায়ী মাদরাসা একই প্রতিষ্ঠান। একই মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত। ওরা যেমন সমাপনী পরীক্ষায় গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে অংশগ্রহণ করে, আমাদের স্বতন্ত্র মাদরাসাগুলোও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ জন্য আমরা জাতীয়করণের দাবি করছি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১০ নবেম্বর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়। পরে ৩১ ডিসেম্বর জাতীয়করণের ঘোষণার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত না নেয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে আমরা অবস্থান ধর্মঘট পালন করে আসছি। সোমবারের মধ্যে দাবি আদায় না হলে আমরা মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশনে যাবো। অষ্টম দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘটে ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতা এবং দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকরা। এ সময় অনেককেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে অনশনে বসেন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। কয়েক দিন অনশন চলার পরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে অনশন ভাঙেন শিক্ষকরা।