শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ইজতিমায় যান চলাচল যেভাবে

স্টাফ রিপোর্টার : টঙ্গীতে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে কাল ১২ জানুয়ারি শুক্রবার। ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হবে ১৪ জানুয়ারি রোববার। এরপর ১৯ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। এই পর্ব শেষ হবে ২১ জানুয়ারি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অতিথিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা প্রান্তরে সমবেত হন। ধর্মীয় এই জমায়েত নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য বেশ কিছু স্থান নির্ধারণ করেছে।
এ ছাড়া মুনাজাতের দুইদিন বেশ কিছু সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে গতকাল বুধবার ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
যান চলাচলের নির্দেশিকা : রেইনবো ক্রসিং থেকে আবদুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত এবং রামপুরা ব্রিজ থেকে প্রগতি সরণি পর্যন্ত রাস্তা ও রাস্তার পাশে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না। ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের যানবাহনগুলো নিম্নবর্ণিত স্থানগুলোতে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করতে হবে ,
চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং : গাউসুল আজম অ্যাভিনিউ (১৩ নম্বর সেক্টর রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্ত হয়ে গরীবে নেওয়াজ রোড।
ঢাকা বিভাগ পার্কিং : সোনারগাঁও জনপথ চৌরাস্তা হতে দিয়াবাড়ি খালপাড় পর্যন্ত।
সিলেট বিভাগ পার্কিং : উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর শাহমখদুম অ্যাভিনিউ।
খুলনা বিভাগ পার্কিং : উত্তরার ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের খালি জায়গা।
রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং : প্রত্যাশা হাউজিং।
বরিশাল বিভাগ পার্কিং : ধউর ব্রিজ ক্রসিংসংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন।
ঢাকা মহানগরী পার্কিং : উত্তরার শাহজালাল অ্যাভিনিউ, নিকুঞ্জ-১ ও নিকুঞ্জ-২-এর আশপাশের খালি জায়গা।
নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক অথবা তার সহকারীকে গাড়িতে অবস্থান করতে হবে। মালিক ও চালক একে অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখতে হবে, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।
ডাইভারশন পয়েন্টগুলো (শুধু আখেরি মোনাজাতের দিন আগামী ১৪ জানুয়ারি ও ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ভোর চারটা থেকে): মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন গ্যাপ, প্রগতি সরণি, কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২, ধউর ব্রিজ, বেড়িবাঁধ-সংলগ্ন উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের প্রবেশমুখ।
ডাইভারশন চলাকালীন আশুলিয়া থেকে আবদুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো আবদুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড় নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।
মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আবদুল্লাহপুরগামী আন্তজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ সব ধরনের যানবাহন মহাখালী ক্রসিংয়ে বাঁয়ে মোড় নিয়ে বিজয় সরণি-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে।
কাকলী, মিরপুর থেকে আগত যানবাহনগুলো এয়ারপোর্টের দিকে না গিয়ে হোটেল র‌্যাডিসন গ্যাপ এবং কুড়িল বিশ্বরোডে ইউটার্ন করে বা ফ্লাইওভার হয়ে প্রগতি সরণি দিয়ে চলাচল করবে।
প্রগতি সরণি থেকে আবদুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো বিশ্বরোড ক্রসিংয়ে ইউটার্ন করে বা ফ্লাইওভার দিয়ে কাকলী-মহাখালী রোড ও মিরপুর ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল করবে।
১৪ ও ২১ জানুয়ারি বিমানের অপারেশনস ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের চালকদের বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করতে হবে। বিদেশগামী বা বিদেশ ফেরত যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেয়ার জন্য ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যবস্থাপনায় চারটি বড় আকারের মাইক্রোবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেটে ভোর চারটা থেকে মোতায়েন থাকবে।
ট্রাফিক সম্পর্কিত যেকোনো তথ্যের জন্য জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (উত্তরা ট্রাফিক জোন) মো. জিন্নাত আলী মোল্লার ০১৭১৩৩৯৮৪৯৮ ও পরিদর্শক (উত্তরা ট্রাফিক জোন) মো. মাহফুজার রহমানের ০১৭১১৩৬৬৫৬১ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ