শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ হতাশ-ব্যর্থতার আর্তনাদ -দুদু

স্টাফ রিপোর্টার : শুক্রবার জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ব্যর্থ হতাশ প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থতার আর্তনাদ বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আমরা বুঝতে পেরেছি তিনি আর বেশিদিন ক্ষমতায় নাই। তার বক্তব্য স্পষ্ট করেছে তার অধীনে দেশে কোন ভাল নির্বাচন হওয়ার সম্ভবনা নেই। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আমরা জানতে পেরেছি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করানো ছাড়া বাংলাদেশে সুষ্ঠু স্বাভাবিক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার পথ নেই।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত 'বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি ইউনুস মৃধাসহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছেন আমার কাছে মনে হয়েছে ব্যর্থ হতাশ প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থতার আর্তনাদ। কি সাফল্য? অসংখ্য মানুষকে গুম করছেন অপহরণ করছেন যাদেরকে আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। প্রায় ৮শত জনকে আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। আপনি বলছেন সরকারকে ফ্যাসাদে ফেলার জন্য নাকি তারা নিজেরাই নিখোঁজ হয়েছেন। বিশ্বের অন্যকোন দেশে নয় একমাত্র এই দেশে আমরা দেখতে পেলাম সরকার দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, হাজার হাজার কোটি না ৪ লক্ষ হাজার কোটি টাকার উপরে শেয়ার মার্কেট, ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে লুট করা হল, সেই টাকার কোন খোঁজ নেই। সেগুলো কি দেশে আছে নাকি বিদেশে আছে আমরা জানি না। এগুলোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কোন কথা বলেন নাই।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, আপনি বাদে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন দেশে-বিদেশের কেউ সমর্থন করে নাই। সেই নির্বাচন থেকে আপনি বেরিয়ে আসবেন কিনা, ভাল কোন নির্বাচন দেবেন কিনা, বিরোধী দলের সাথে আলোচনা করবেন কিনা সে ব্যাপারে আপনি কিছু বললেন না। আপনি অহংকার করেছেন জেদ দেখিয়েছেন আপনি আপনার একেবারে ভূয়া সাফল্যের কথা ব্যক্ত করেছেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, রাস্তার আন্দোলন না আপনি ধারণাও করতে পারবেন না সামনের দিনগুলোতে আপনাকে অপসারণ করার জন্য পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য কি আন্দোলন সামনে আসছে। এটা আপনি ধারণাও করতে পারছেন না। কারণ এটা বাংলাদেশ শেখ মুজিবকে আটকিয়ে রেখে পাকিস্তানিরা গণতন্ত্রকে আটকিয়ে রাখতে পারে নাই। বেগম খালেদা জিয়াকে জেলখানায় ভরে রেখে যদি মনে করেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আটকিয়ে রাখবেন এটা অসম্ভব ব্যাপার।
শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দেয়া হয়েছে সপ্তাহে তিন চারদিন তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এবং এই আদালতের কারণে বাংলাদেশ মনে হচ্ছে একটা আদালত হয়ে গেছে। বিরোধী দলের রাজনীতি আদালতের রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সব থেকে সম্ভাবনাময় রাজনীতিবিদ তারেক রহমানকে দেশে আসতে দেয়া হচ্ছে না।
ইউনুস মৃধাসহ সকল গ্রেফতারকৃত নেতার মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলছি যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দিন আমরা জেল ভেঙে মুক্তি করে আনার কথা বলি না, কিন্তু এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন না যাতে জেল ভেঙে আনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
বক্তব্যের শেষে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামীর দিন বিএনপির দিন, গণতন্ত্রকামীদের দিন, ফ্যাসিবাদীদের পতনের দিন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, জিনাফের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ