শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ত্রিদেশীয় সিরিজে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই----সুজন

স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ-শ্রীলংকা-জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আজ শুরু হচ্ছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। প্রথম ম্যাচেই আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। সিরিজে স্বাগতিকদের আরেক প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা। এই সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বাংলাদেশ। এমনাই জানান দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন । তিনি বলেন, ‘নতুন বছরে নতুন লড়াই আমাদের জন্য। ত্রিদেশীয় সিরিজে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’প্রায় দেড় বছর আগেই ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য সঠিক ‘কম্বিনেশন’ খুঁজতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং অর্ডারের তিন, চার ও পাঁচ নম্বর জায়গায় এখনই ব্যাটসম্যান নির্দিষ্ট করে দিতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তিন নম্বর খুব গুরুত্বপূর্ণ হলেও এই জায়গায় অনেকদিন ধরেই একজন নির্দিষ্ট ব্যাটসম্যান খুঁজে চলেছে টাইগাররা। সাকিব-লিটন-ইমরুল-সৌম্য-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-মুমিনুল-সাব্বির কেউই ‘তিন নম্বর’ পরীক্ষা থেকে বাদ যাননি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শেষ দুটি ওয়ানডে ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছিলেন লিটন, আর প্রথম ওয়ানডেতে ওই পজিশনে ছিলেন সাকিব। বছরের শুরুতে তিন নম্বর পজিশনটি সাকিবকে দেওয়া হচ্ছে। মুশফিক বেশ কিছুদিন ধরে চার নম্বরে ব্যাটিং করছেন, আর এই পজিশনেই ব্যাটিং করবেন তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপে চার নম্বরে ব্যাটিং করে দুটি সেঞ্চুরি পাওয়া মাহমুদউল্লাহ নামবেন পাঁচ নম্বরে, আর ছয় নম্বরে সাব্বির। দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘আমরা তিন নম্বরে ব্যাটিং করার জন্য কাউকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না এতদিন। আমরা চাই, এখানে  কোনও সিনিয়র ক্রিকেটার খেলুক। এই পজিশনে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের খেলা উচিত। আমরা তিন নম্বরে সাকিবকে পছন্দ করেছি। সে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটার, পাশাপাশি পরিস্থিতি বিবেচনা করে খেলার মতো দক্ষ। আর পাঁচে আমরা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে খেলানোর চিন্তা-ভাবনা করছি।’ অনেক দিন পর জাতীয় দলে ফেরা এনামুল হক বিজয় ও আবুল হাসানকে নিয়ে আশাবাদী জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সুজন, ‘ওরা দুজনই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেছে। বিজয় তো গত দুই-আড়াই বছর ধরে দারুণ খেলছে, সব ফরম্যাটেই ভালো ব্যাটিং করছে। পারফরম্যান্সই ওদের দলে নিয়ে এসেছে। আশা করি, সুযোগ পেলে ওরা নিজেদের উজাড় করে খেলবে।’ বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ স্পিন নির্ভর হলেও দলের পেসারদের ওপরে যথেষ্ট আস্থা আছে টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের, ‘স্পিন আমাদের শক্তির জায়গা, তবে আমাদের পেস বোলাররাও ভালো। আমরা নিশ্চয়ই পাঁচজন স্পিনার নিয়ে খেলতে পারবো না। আমাদের পেস বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আছে। অভিজ্ঞ মাশরাফি পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দেবে। পেস বোলারদের কাছ থেকে আমাদের অনেক প্রত্যাশা।’ বাংলাদেশ দলের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই আছেন তিনি। কখনো ম্যানেজার, কখনো কোচ কখনো বা অন্য দায়িত্বে।  খেলোয়াড় থেকে শুরু করে কোচ কিংবা টিম ডিরেক্টর- খালেদ মাহমুদ সুজন কখনো পিপলস চয়েজ হতে পারেননি। তবে এসব বিষয় নিয়ে আক্ষেপ নেই সুজনের। তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যেতে না। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না আসলে। আমার জন্য আসলে এটা একটা সুযোগ। ২০০৩ সালে আমি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, ওই সময়টা খুব কঠিন ছিলো। তখন দলটাকে এক করার একটা কাজ ছিল আমার। দায়িত্বটা অনেক বেশি ছিল আমার। সে তুলনায় এখন কাজটা অনেক সহজ। কারণ এখন আমি অভিজ্ঞ। যদিও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমার অভিজ্ঞতা কম। কিন্তু গত তিন চারটা বিপিএলে কাজ করে, চাপ নেয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি মনে করি জাতীয় দলের চেয়ে বিপিএলে চাপ বেশি থাকে। জাতীয় দলে পরীক্ষিত ক্রিকেটার আছে। যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপটের সাথে খেলেছে। তারা এগিয়ে যাচ্ছে সত্যি কথা বলতে গেলে। আজকে তামিম যেভাবে ব্যাটিং করে, এটা তো আমরা বলতেই পারি যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সেরা কয়েকজন ব্যাটসম্যানের কথা বলতে হলে তামিমের কথা বলতেই হবে। ক্রিকেটার যারা আছে, তারা ছোট থাকতেই তাদের সঙ্গে কাজ করেছি। সুতরাং এই কাজটা আমার জন্য সহজ। আমি জানি না, আসলে কতোটা কী করতে পেরেছি। বেশি কিছু অবশ্য করারও ছিল না। সিনিয়রদের সাথে বেশি কাজ করিনি। কারণ তারা তাদের কাজটা খুব ভালো জানে। কিন্তু তরুণ যারা আছে, তারা যদি পারফর্ম করা শুরু করে, আমি মনে করি আমাদের দলটা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি কোনো বিতর্কে যেতে চাই না। আমি মনে করি কোচিং আমার পেশা। আমি এটা উপভোগ করি। ২০০৬ সালে খেলা ছাড়ার চার মাস পর থেকেই আমি কোচিং শুরু করি। অনূর্ধ্ব-১৩ পর্যায় থেকে সব পর্যায়েই আমি কোচিং করিয়েছি। সুতরাং আমার কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই, ব্যাপারটা তা নয়। কিন্তু আমি ভালো কোচ নাকি খারাপ, তা মানুষ বলবে। কিন্তু আমি কোচিং করানোটাই আমার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। আমি টিম ম্যানেজার ছিলাম, তখন এটাকেই লাভবান মনে করা হয়েছিল। আমি জানি না, সেটা কতোটা হয়েছিল। আমার যেহেতু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা কিছুটা হলেও আছে, যেহেতু আমি বাংলাদেশ দলে খেলেছি। অধিনায়কও ছিলাম এক সময়। সুতরাং কিছু অভিজ্ঞতা ছিলই। কিন্তু আমি যখন ৮৩ বা ৮৪-এর দিকে ক্যারিয়ার শুরু করি, তখন থেকে একটা দিনের জন্যও আমি ক্রিকেটের বাইরে থাকিনি। ক্রিকেটই আমার সব কিছু। ক্রিকেটই আমার জীবিকা। ক্রিকেট ছাড়া আসলে নিঃশ্বাস নেয়াই কঠিন।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ