বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

তিস্তার চরাঞ্চলে একমাত্র বাহন ঘোড়ার গাড়ি

সুন্দরগঞ্জের তিস্তার চরাঞ্চলের একমাত্র বাহন ঘোড়ার গাড়ি। ছবিটি বেলকার চর হতে তোলা

গাইবান্ধা সংবাদদাতা: তিস্তার চরাঞ্চলে চরাঞ্চলের বিভিন্ন মালামাল বহনের একমাত্র বাহন হচ্ছে ঘোড়ার ঘাড়ী। ধু-ধু বালু চর পাড়ি দিয়ে দুর্গম চরে ঘোড়ার গাড়ীর মাধ্যমে আনা নেয়া করা হচ্ছে মালামাল। তিস্তার শাখা নদীর হাঁটু ও গলা পানি  সাতঁরাইয়া পাড়ি দিচ্ছে ঘোড়ার গাড়ী।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলক, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত খর¯্রােতা অগভীর রাক্ষুসি তিস্তা নদী এখন আবাদি জমিতে এমনকি কাইম এলাকায় পরিনত হয়েছে। দীর্ঘদিনের জমি জিরাত খুঁয়ে যাওয়া অন্যত্র চলে বসবাসরত  পরিবারগুলো পুনরায় ফিরতে শুরু করেছে বাপ দাদার সেই পুরনো ভিটায়। সে কারনে অনেকে নির্মাণ করছেন ইটের ঘর বাড়ি।
তাছাড়া চরাঞ্চলে এখন নানাবিধ ফসলের চাষাবাদ করা হচ্ছে। উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন হাট বাজার থেকে কৃষি উপকরণ সার,বীজ,কীটনাশক এমনকি ধান,চাল,গম,তামাক,তোষাপাটসহ পর্ণ সামগ্রী বহনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ঘোড়ার গাড়ী। এদিকে বিভিন্ন চরে দিনদিন গড়ে উঠছে দোকানপাট। উপজেলার  তালুক বেলকা গ্রামের মধ্যম শ্রেনির কৃষক ফয়জার রহমান জানান ,তিনি ৬০হাত ইটের ঘর নির্মাণ করছেন। ইতিমধ্যে তিনি তিস্তার একটি শাখা নদী পাড়ি ২০হাজার ইট ঘোড়ার গাড়ীতে করে নিয়ে গেছেন। এছাড়া রড,সিমেন্ট ও বালি পর্যন্ত ঘোড়ার গাড়ীতে করে বহন করছেন।
তিনি বলেন খরচ বেশি পড়লেও কোন উপয় নেই। কারণ চরে অন্য কোন যান বাহন চলে না। কথা হয় বেলকা চরের ঘোড়ার গাড়ী চালক আব্দুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন চরে মালামাল টানা অত্যন্ত কষ্টকর। যে ভাবে পরিশ্রম করা হয় সে হারে ভাড়া পাওয়া যায় না। প্রতিদিন ঘোড়া দিয়ে গাড়ী টানার পর যে টাকা পাওয়া যায় তা দিয়ে কোন মতে সংসার চলে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ