বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ভারসাম্যের সফরে ফিলিস্তিন যাচ্ছেন চতুর মোদি

৭ ফেব্রুয়ারি, ইকোনমিক টাইমস : গত বছর ইসরাইলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী  ফিলিস্তিনের নামও উচ্চারণ করেননি। এমনকি যৌথ বিবৃতিতেও ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের কথা উল্লেখ না করে শুধু ‘আঞ্চলিক শান্তি’-র প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।
ইসরাইলের মন রাখতে গিয়ে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সম্পর্কের শৈত্য এ বার ঝেড়ে ফেলতে চলেছে মোদী সরকার। ১০ ফেব্রুয়ারি মোদী সেখানে পা রাখতে চলেছেন। মোদিই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি ফিলিস্তিন পৌঁছবেন।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রিদেশীয় (ফিলিস্তিন, সংযুক্ত আরব আমিররাত, ওমান) সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল রামাল্লায় ভারত- ফিলিস্তিন দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক বৈঠক।
অনেকেই মনে করছেন, এক দিকে আন্তর্জাতিক অন্য দিকে ঘরোয়া রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা দু’টি কারণেই ইসরাইলের সঙ্গে গভীর সখ্যতার পাশাপাশি ফিলিস্তিনকেও গুরুত্ব দিতে হচ্ছে মোদিকে।
গত মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মোদির ‘মাইল ফলক সফর’ ভারতের ‘ঘরোয়া’ ও ‘আন্তর্জাতিক’ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত। যে চারটি দিককে এর সঙ্গে জোড়া হচ্ছে, তা হল-প্রথমত, এটি ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক আকাক্সক্ষার প্রতি ভারতের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতির প্রতীক। দ্বিতীয়ত, সেখানকার পরিকাঠামো, দক্ষতা বাড়াতে বেশ কিছু চুক্তিপত্রে সই। তৃতীয়ত, সন্ত্রাসবাদ দমন, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। চতুর্থত, আন্তর্জাতিক স্তরে ফিলিস্তিনের দাবিকে সমর্থনের বার্তা।
কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, চতুর্থ কারণটি নয়াদিল্লির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসরাইলের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন মোদি। কিন্তু সাউথ ব্লক বুঝছে, এর ফলে পশ্চিম এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোর কাছে অন্য রকম বার্তা পৌঁছচ্ছে। সে কারণেই ভারসাম্য বজায় রাখাটা জরুরি।
রাজনৈতিক সূত্রের মতে, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের আবেগকেও অগ্রাহ্য করতে চাইছে না মোদি সরকার। সে কারণেই ডিসেম্বরে জাতিসংঘে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আনা ফিলিস্তিন-বিরোধী প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে ভারত। মোদির সফরে সেই ‘ ভোটদান’-কে বড় করে তুলে ধরা হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। গত মাসে ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু তার পাঁচ-দিনব্যাপী ভারত সফর শেষ করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ