বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পুলিশী হয়রানি বন্ধ করতে হবে স্বেচ্ছায় কারাবরণে খুলনা বিএনপি’র হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রস্তুত

খুলনা অফিস : বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর শাখার সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশী হয়রানি বন্ধ করুন। বিএনপি নিবন্ধিত ও দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল; স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। তাই অবিলম্বে পুলিশী হয়রানি, রাতে আঁধারে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার ও গ্রেফতার আতঙ্ক বন্ধ করতে কেএমপি কমিশনারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশী হয়রানি বন্ধ করুন। খুলনা মহানগর বিএনপি’র হাজার হাজার নেতাকর্মী স্বেচ্ছায় কারাবরণে প্রস্তুতি নিচ্ছি। তখন শেখ হাসিনার বাকশালী কারাগারে জায়গা সংকুলান হবে না।’ বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাজানো-পাতানো রাজনীতিক হয়রানিমূলক মামলার রায় বাতিল ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবারের বিক্ষোভ সমাবেশ সফলে গতকাল সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সাংগঠনিক সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচিতে জনস্রোত বাড়ছে। জনস্রোত যত বাড়বে হাসিনাসাহী বাকশাল সরকারের মৃত্যু ঘণ্টা ততোই ঘনিয়ে আসবে। তাই সকল মতোভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি জনসাধারণের দ্বোর গড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই হাজার স্বাক্ষর করিয়ে দলীয় কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। এতে প্রমাণীত হবে দেশের ১৬ কোটি মানুষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চায়।
সভায় ২১ ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি সফলের বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২১ শে ফেব্রুয়ারির দ্বিপ্রহরে মহান ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পনের পূর্বে রাত ১০টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত। পরদিন ২১ শে ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে নগরীর খানজাহান আলী, খালিশপুর ও দৌলতপুর থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর প্রভাত ফেরী করবে।
সাংগঠনিক সভায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কেসিসি’র মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম মেঝো ভাই, শেখ খায়রুজ্জামান খোকা, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন খোকন, ফখরুল আলম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মহিবুজ্জামান কচি, শাহিনুল ইসলাম পাখী, এডভোকেট গোলাম মওলা, ইকবাল হোসেন খোকন, আজিজুল হাসান দুলু, সাদিকুর রহমান সবুজ, শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, একরামুল হক হেলাল, হাসানুর রশিদ মিরাজ, মুর্শিদ কামাল, কেএম হুমায়ুন কবীর, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শেখ ইমাম হোসেন, রোকেয়া ফারুক, শরিফুল ইসলাম বাবু, হেলাল আহমেদ সুমন, তরিকুল্লাহ খান, হাফিজুর রহমান মনি, আফসারউদ্দিন মাস্টার, শেখ ফারুক হোসেন, হাসানউল্লাহ বুলবুল, এইচএম এ সালেক, শেখ জামিরুল ইসলাম, এডভোকেট শেখ মো. আলী বাবু, মুজিবর রহমান ফয়েজ, মো. সাইফুল ইসলাম, হাবিব বিশ্বাস, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, নাসির খান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আব্দুল আলীম, রবিউল ইসলাম রবি, মোস্তফা কামাল, বাচ্চু মীর, লিটন খান, আব্দুল জব্বার, মেজবাহউদ্দিন মিজু, এইচএম আসলাম, আনিসুর রহমান আরজু, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, ইমতিয়াজ আলম বাবু, আরমান হোসেন, নূরে আব্দুল্লাহ ও তুষার আলম প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ