শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৭-৮ হাজার টাকায়

মাজেদুর রহমান লিটন, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা): জীবননগর উপজেলাড ব্যাপকহারে লালশাকের বীজ উৎপাদন হচ্ছে। লালশাকের বীজ বিক্রি করে ভালো আয় হচ্ছে। মাত্র তিন মাসের এ ফসল উৎপাদনে অধিক লাভ পাওয়ায় এলাকার চাষিরা লালশাকের বীজ উৎপাদনে ঝুঁকে পড়েছেন।
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কর্চ্চাডাঙ্গা, শাহাপুর, অনন্তপুর, কুলতলা. নিশ্চিন্তপুর ও পাকা, হাসাদহ ইউনিয়নের কাটাপোল, বকুন্ডিয়া ও মাধবপুর, রায়পুর ইউনিয়নের বালিহুদা, বাড়ান্দিপাড়া ও নিধিকুন্ডু, বাকা ইউনিয়নের মিনাজপুর, মুক্তারপুর ও পুরন্দপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠে চাষিরা গত পাঁচ-সাত বছর ধরে লালশাক ব্যাপক হারে চাষ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ লালশাকের ক্ষেত। আগাম লাগানো লালশাকের বীজ ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা শুরু করেছেন কৃষক। জীবননগর হয়ে বাকা, হাসাদহ, রায়পুর ও আন্দুলবাড়ীয়া পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার রাস্তার ওপর বিভিন্ন স্থানে চাষিরা শুকাচ্ছেন লালশাকের বীজ।
উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের কৃষক লালন বলেন, এক বিঘা জমিতে লালশাক চাষ করে বীজ উঠানো পর্যন্ত চাষ, সার, বিষ ও শ্রমিক বাবদ সব মিলিয়ে ছয় হাজার থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়।
এ বছর প্রায় আট হাজার টাকা মণ দরে লালশাকের বীজ বিক্রি করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদিত লালশাক হতে ৫ থেকে ৬ মণ বীজ পাওয়া যায়। খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদিত লালশাকের বীজ বিক্রি করে কৃষক ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ পাচ্ছেন।
এ উপজেলায় লালশাকসহ অন্যান্য সবজি বীজের ব্যাপক উৎপাদন হওয়ায় দেশের নাম করা বড় বড় বীজ বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের নিজস্ব বীজ ক্রয় কেন্দ্র চালু করেছে।
উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ জানান, লালশাকে পোকামাকড়ের তেমন কোন উৎপাত নেই, যে কারণে জমিতে শুধুমাত্র ছত্রাকনাশক স্প্রে করেই সহজে চাষ করা যায়। তবে আবহাওয়া গরম হলে হালকা মাত্রার কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। তেমন কোন রোগ-বালাই ছাড়াই লালশাকের বীজ উৎপাদন করা সম্ভব।
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘এ বছর জীবননগর উপজেলায় প্রায় ২২’শ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে লালশাকের লক্ষ্যমাত্রা আলাদা করে হিসাব করা নেই। তবে বীজ উৎপাদনের জন্য জীবননগর উপজেলায় অধিকহারে লালশাকের চাষ হচ্ছে।
এ বছর লালশাকের আবাদ করা জমির পরিমাণ প্রায় ১৫০-১৬০ হেক্টর হতে পারে।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ