শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বিএনপির কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচিতে লাঠিপেটা জলকামান

গতকাল শনিবার রাজধানীতে বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচির চিত্র (১) বিএনপি অফিসের গেটে পুলিশী এ্যাকশন (২) জলকামানের রঙিন পানি থেকে স্বয়ং বিএপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও রেহাই পাননি (৩) টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির পূর্বঘোষিত কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একইসঙ্গে চালানো হয় গরম জলকামান। বিএনপি অভিযোগ করেছে, পুলিশের নির্মম লাঠিপেটায় ও জলকামানের আঘাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাংবাদিকসহ আহত হয়েছে ২৩০ জনের অধিক নেতা-কর্মী। এছাড়া কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচিতে থেকে দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। গতকাল শনিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে  নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনেই  এই ঘটনা ঘটে।
আটককৃতদের মধ্যে আছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক এমপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সহ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সহ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম লাবু, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ সম্পাদক নেওয়াজ হালিমা আরলি।
অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মহিলা দলের  ডা. নাসিমা তালুকদার বেবী, মনিরা, হেনা, ফেরদৌসী, মনিকা, মায়া, নাসিমা, নাসরিন,  খোরশেদা, শারমীন, শাহিন, শ্রমিক দলের লিটন মিয়া, ইফতেখার আলম, মো. ইসলাম, মো. ওবায়েদ,, স্বেচ্ছাসেবক দলের নাসির মোল্লা, ইমতিয়াজ হোসেন বাবু, সেলিম হাওলাদার, সোহান, সাব্বির,  ছাত্র দলের শামীমা সুলতানা শিলা, রফিক হাওলাদার সেতু, খোরশেদ প্রমুখ।
পুলিশী লাঠিপেটায় গুরুতর আহতদের মধ্যে আছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, সাবেরা আলাউদ্দিন, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দীপু, জাসাসের সহসভাপতি শাহিনুর ইসলাম শায়লা।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদ- এবং তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামীর ১০ বছরের কারাদ- ও দুই কোটি ১০ লাখ টাকা অর্থদ- করে আদালত। রায়ে পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আট দিন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। রাজধানীতে মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান, অনশনের মতো কর্মসূচি নির্বিঘেœই পালন করে দলটি। তবে ২২ ফেব্রুয়ারি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েও সেই কর্মসূচি পালন করতে পারেনি পুলিশের অনুমতি না মেলায়। আর এর প্রতিক্রিয়ায় গতকাল কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দেয় বিএনপি। শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছিলেন, সরকার কোনো সংগঠনের রাজনৈতিক অধিকারে বাধা দিচ্ছে না। পেট্রলবোমা মেরে জ্বালাও- পোড়াওয়ের মতো সহিংস ও ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি থেকে সরে এসে সুষ্ঠু রাজনৈতিক আন্দোলন করলে বিএনপিকে সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছিলেন মন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘নিয়ম মেনে গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করলে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতেই বাধা দেয়া হবে না।’
গতকালের বিএনপির কর্মসূচিতে লাঠিপেটা করার বিষয়ে জানতে চাইলে পল্টন মডেল থানার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি। ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শিবলি নোমান জানান, ‘ভাই এখন ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।’ এ কথা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন। পরে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের শিবলী নোমান জানান, সড়ক দখল করে যান চলাচলে বিঘœ ঘটানো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হতে পারে না। তাই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
 বেলা দেড়টার পর যখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দ্রুতগতিতে নয়াপল্টন ছেড়ে যাচ্ছিলেন তখন কার্যালয়ের তিন তলার ব্যালকনিতে দাঁড়িতে কালো পতাকা প্রদর্শন করেন রিজভী। কয়েক মিনিটের প্রতিবাদ শেষে তিনি আবার ভেতরে চলে যান।
বেলা ১১টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান কার্যালয়ে ঢোকার সময় আরেক দফা আক্রমণ চালায় পুলিশ। লাঠিপেটার পাশাপাশি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা হালিমা নেওয়াজ আরলি ও রাশেদা বেগম হীরাকে আটক করা হয়। এ সময় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও আবদুল আউয়াল মিন্টু, লেবারপার্টিও চেয়ারম্যান ডা মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়া পল্টনে আনুষ্ঠানিক সাংবাদিক সম্মেলনে গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা তুলে ধরে বলেন, দেড়শতাধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন টেনে হেঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে। রিজভী অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, আহতদের নেবার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আসলেও পুলিশ প্রথমে তাদের সরে  যেতে বলে। পরে দুপুরে মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা কার্যালয় থেকে নামলে আহতদেরও অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। জলকামানের গরম রঙ্গিন পানির হামলার মুখে পড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাদিয়া পাঠান পাপন জানান, কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি পালনের জন্য সকাল ১০টার পর মহিলা দল ও ছাত্রদলের নারী কর্মীসহ নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। তারা কার্যালয়ের সামনে সড়কে কালো পতাকা নিয়ে বসে পড়েন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে বিএনপি কর্মীরা সড়কে অবস্থান নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ, জলকামান থেকে রঙিন পানিও ছুড়তে থাকে। এতে মির্জা ফখরুলসহ দলটির অনেক নেতাকর্মী ভিজে যান। এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের বেধড়ক পেটাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সিনিয়র নেতাসহ উপস্থিত কর্মীদেও জোর করে আটক করতে থাকে। 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকাল ১০টার দিকে নেতাকর্মীরা কালোপতাকা হাতে কর্মসূচি পালন করছিল। এর কিছু সময় পরেই পূর্ব দিক থেকে হলুদ রঙের জলকামানের গাড়ি বিএনপি কার্যালয়ে কাছেই এসে গরম রঙ্গিন পানি ছুঁড়তে থাকে নেতা-কর্মীদের ওপর। বিএনপি মহাসচিব হাত উঠিয়ে পুলিশকে এটা ছুঁড়তে বারণ করলে গরম রঙ্গিন পানির নল মহাসচিবের দিকেই তাঁক করে। মুহূর্তে মধ্যে সাদা স্টাইপ ফুল শার্ট পরিহিত মির্জা ফখরুল ভিজে যান। তার পেন্ট ও মুখমন্ডলেও রঙ্গিন পানি এসে লাগে। পানির তীব্র স্রোতে মহাসচিব বাঁচতে কয়েক জন  নেতা-কর্মী মহাসচিবের সামনে  এসে দাঁড়লেও তিনি রক্ষা পাননি। পুলিশের রঙ্গিন পানি ছোঁড়া শেষ না হওয়ায় এক পর্যায়ে মহাসচিবকে কয়েকজন নেতা গেইটের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় নিজের চেম্বারে এসে মির্জা ফখরুল  ভেজা জামা-কাপড় পাল্টান। বেলা ১২টায় যখন সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন তাকে দেখা গেছে পাঞ্জাবী পরা অবস্থায়। দলের এক নেতার পাঞ্জাবি পড়ে সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন মির্জা ফখরুল। পরে দোকান থেকে পাঞ্জাবি ও পায়জমা কিনে এনে তা পাল্টিয়ে বেলা দেড়টার দিকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয় ছেড়ে যান।
এর সকাল ১০টা ২০ মিনিটে কার্যালয়ের সামনে পুলিশ অতর্কিতে নেতা-কর্মীদের ওপর তেড়ে আসার সময়ে বিএনপি মহাসচিব গাড়ি থেকে নামেন। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে এগিয়ে আসলে তিন কর্মকর্তা তাকে ঘিরে নিয়ে যেতে থাকে। এই সময়ে সাঁজোয়া যান হুইসেল বাজিয়ে কার্যালয়ের দিকে এগুতে থাকে।
মির্জা ফখরুল পুলিশ কর্মকর্তা কাছে জানতে চান, কেনো এমন করা হচ্ছে? নেতা-কর্মীরা তো কোনো বিশৃঙ্খলা করছেন না, তারা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু পুলিশ কোনো কথাই শুনে নারাজ। তারা নেতা-কর্মীদের প্রধান ফটকের ভেতরে ঢুকাতে জলকামান ঢেকে আনে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে সজ্জ্বন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে এ পর্যন্ত ৭ বার গেফতার হয়ে মোট ৩৫২ দিন করাগারে বন্দী ছিলেন। সর্বশেষ ২০১৬ সালের মার্চ মাসে তিনি গ্রেফতার হন পরবর্তিতে জামিনে ছাড়া  পান। ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করা ছাত্র জীবনে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি  মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সময়ে মামলার সংখ্যা ৮৭ টি। যার মধ্যে ডজন খানেক মামলার অভিযোগপত্রও দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ডিআরইউর নিন্দা: শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ডিআরইউ’র সদস্য দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার কামরুল হাসান এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলাদেশ জার্নালের নিজস্ব প্রতিবেদক কিরণ শেখের উপর পুলিশী নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার দুপুরে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ডিবি পরিচয়ে সাদা পোষাকধারী কয়েকজন পুলিশ কামরুল হাসানকে আটক করে হোটেল ভিক্টরীর গলিতে নিয়ে যায়। সেখানে কামরুলকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর তার ফেসবুক আইডি ঘাটাঘাটি করে। পরিচয়পত্রের ছবি তুলে বলে ‘ তোকে টার্গেটে রেখেছি।’ এর কিছুক্ষণ পর একই বিটে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে কামরুলকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কিরণ শেখকে নির্যাতন করে পুলিশ। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও পল্টন থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কুবায়েত কিরণ শেখের ওপর নির্যাতন চালায়। কিরণ শেখ বলেন, বিএনপির কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করতে নয়াপল্টনে দলটির কার্যালয়ের সামনে আসা মাত্রই কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমাকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তারা আমার পরিচয় জানতে চাইলে আমি আইডি কার্ড দেখাই। এরপর পুলিশ অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালিসহ কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে তারা আমাকে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর শার্ট ধরে টেনে তোলে। মারধরের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ গালে চড় দিয়ে বলে, ‘একদম চুপ, কোনও কথা বলবি না।’ গতকাল শনিবার ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের উপর এ ধরনের ন্যাককারজনক হামলার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান।
বিএনপির শান্তিপূর্ন কালোপতাকা প্রদর্শন কর্মসূচীতে বর্বরোচিত হামলা ও  গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব প্রকৌশলী মোঃ ফরিদ উদ্দিন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ