বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশ আজ

স্টাফ রিপোর্টার: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে আজ রোববার। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ঠিক করেন। আদালতের আজকের কার্যতালিকায় মামলাটি আদেশের জন্য এক নম্বরে রাখা হয়েছে।
আজ আদালতে খালেদা জিয়া জামিন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তার আইনজীবীরা। আইনজীবীরা বলছেন, অন্যকোনো মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো না হলে এ মামলায় জামিনের পর তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন।
এই মামলায় ৩২টি আইনগত যুক্তি তুলে ধরে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, আবেদনকারীর বয়স ৭৩ বছর। তিনি শারীরিকভাবে বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ৩০ বছর ধরে গেঁটেবাত, ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিস ও ১০ বছর ধরে উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। এছাড়া হাঁটু প্রতিস্থাপনের কারণে তার গিঁটে ব্যথা হয়, যা প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক। এ কারণে হাঁটাহাঁটি না করার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ রয়েছে। শারীরিক এসব জটিলতার বিষয় এবং সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে তার জামিন মঞ্জুরের আবেদন জানানো হয়েছে। জামিন আবেদনে আরো বলা হয়, উপমহাদেশসহ দেশের উচ্চ আদালতসমূহে দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে যে, যখন আসামী একজন নারী হন তখন তার অনুকূলে জামিন বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও জামিন আবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
যেসব যুক্তি দেখিয়ে জামিন আবেদন করা হয়েছে অন্য রকম কিছু না ঘটলে খালেদা জিয়া জামিন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, যেহেতু বিএনপি চেয়ারপার্সনকে অন্য কোনো মামলায় এখন পর্যন্ত শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়নি তাই এ মামলায় জামিন পেলে কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।
বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে দেখা করে বেরিয়ে এসে তার চার আইনজীবীও রোববার খালেদা জিয়া জামিন পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আইনজীবী প্যানেলের সদস্য এডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া সংগ্রামকে বলেন, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে খালেদা জিয়া কারাবন্দী আছেন। সাধারণত এ ধরনের মামলায় আমরা জামিন পেয়ে থাকি। রোববার তার জামিন হবে বলে আমরা আশাবাদী।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। এরপর পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে তাকে সেখানে রাখা হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
এর পরেই ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। সেইসঙ্গে স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার অর্থদণ্ড।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার মামলার নথি নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে এসে পৌঁছানোর পরই আদেশ দেয়া হবে বলে জানানো হয়। ১৫ দিনের মধ্যে নথি পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ