বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

খুলনায় ওকালতনামা বেইলবন্ড ও স্টিকার জালিয়াতির ঘটনায় মামলা

খুলনা অফিস : খুলনায় ওকালতনামা, বেইলবন্ড ও বার কাউন্সিলের স্টিকার জালিয়াতির অভিযোগে দুইজন আইনজীবীসহ তিন আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শনিবার তাদেরকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হলে মহানগর হাকিম মো. আমিরুল ইসলাম এ আদেশ দিয়েছেন। একই সাথে রিমান্ড আবেদনের শুনানীর জন্য আজ সোমবার দিন নির্ধারণ করেছেন। শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান নান্নু বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন (নং-৪৪)।
মামলার আসামিরা হলেন, ৩২, সোনাডাঙ্গা মেইন রোড হাউজ বিল্ডিং কলোনীর মো. শাহজাহান তালুকদারের ছেলে এডভোকেট এস এম আরিফুর রহমান, পাইকগাছা উপজেলার সরল গ্রামের জিএম শওকত হোসেনের ছেলে এডভোকেট জিএম শাহাদাৎ হোসেন, রূপসার বামনডাঙ্গা বাজারের নরনিয়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে এডভোকেট বিউটি আক্তার ও জেলা বারের অফিস সহকারি মো. মারুফ।
গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এডভোকেট এস এম আরিফুর রহমান, এডভোকেট জিএম শাহাদাৎ হোসেন ও জেলা বারের অফিস সহকারী মো. মারুফকে সদর থানায় হস্তান্তর করেছে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। এছাড়া মামলার অপর আসামি এডভোকেট বিউটি আক্তার এখনো আটক হয়নি। এ তিনজনের কাছ থেকে ৪৪টি ওকালতনামা, ২৯টি বেইলবন্ড, ৪৪টি বার কাউন্সিল স্টিকার, জেলা আইনজীবী সমিতি ও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নকল সিল উদ্ধার করা হয়।  জেলা আইনজীবী সমিতির নিয়মানুসারে একটি ওকালতনামা দুইশ’ পঞ্চাশ টাকায় বিক্রি করা হয়। কিন্তু ২৩০ টাকায় নকল ওকালতনামা বিক্রি করতো তারা। এবিষয়টি গোপনে বারের নেতৃবৃন্দ তদন্ত করেন। স্থানীয় আরাফাত গলির ছাপাখানা থেকে তারা এসকল কাগজপত্র ছাপিয়ে আদালতে বিক্রি করেন। এতে জেলা আইনজীবী সমিতি, বার কাউন্সিলসহ রাষ্ট্র রেভিনিউ হারিয়েছেন।
ওকালতনামা, বেইলবন্ড ও বার কাউন্সিলের স্টিকার, জেলা আইনজীবী সমিতির সীল, নেতৃবৃন্দের সীল নকলের বিষয়ে জেলা বারের নেতৃবৃন্দের কাছে লিখিত ভাবে অপরাধ স্বীকার করেছে এডভোকেট আরিফুর রহমান।  ওই স্বীকারোক্তিতে বলা হয়, এডভোকেট এস এম আরিফুর রহমান ছাপাখানা থেকে এ সকল কাগজপত্র ছাপিয়ে আনতো। এছাড়া তিনি এডভোকেট জি এম শাহাদাৎ ও এডভোকেট বিউটি আক্তারের কাছে এগুলো বিক্রি করতেন। একাজে সহায়তা করতো জেলা আইনজীবী সমিতির অফিস সহকারী (পিয়ন) মো. মারুফ।
এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এম এম মিজানুর রহমান জানান, জাল জালিয়াতির অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ