বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মনোহরদীতে কুল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন ফজলুর রহমান

মনোহরদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা: ব্রহ্মপুত্র ও আড়িয়লখা নদীর বিধৌত এলাকা হলো মনোহরদী উপজেলা। ঐতিহাসিক ভাবে এই উপজেলায় মসলিন কাপর তৈরীতে এক সময় বেশ নাম ডাক ছিল বলে জানা যায়। সেই হিসেবে কৃষি ক্ষেত্রও তেমন একটা পিছিয়ে নেই মনোহরদী উপজেলা। সেই দিক থেকে কৃষিতে কুল চাষ করে সফলতা এনেছেন এই উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের দশদোনা গ্রামের মুহা. ফজলুর রহমান। 

ঢাকা কিশোরগঞ্জ মহা সড়কের পাশের্^ দশদোনা গ্রামে তার ৩২ শতাংশ আবাদি জমি রয়েছে। এই জমিতে সে ইতিপূর্বে ধান,পাট ও কলা চাষ করতো। যা থেকে তার সীমিত লাভ হতো। তাই তিনি ২০০৭ সালে স্থানীয একটি নার্সারী থেকে ৫৩ টি আপেল এবং থাই কুল গাছের কলমের চারা এনে রোপন করেন এই আবাদি জমিতে। রোপনের প্রথম বছরই কুল গাছে যথারীতি ফলন আসলেও তা থেকে তেমন একটা লাভ দেখেন নাই কুল চাষি মুহা. ফজলুর রহমান। কোন রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিজ উদ্যোগে এই বাগান পরিচর্যা করে প্রতি বছর কুলবিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তিনি।

 কুল চাষি মুহা. ফজলুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি এই জমি থেকে ধান ও পাট চাষ করে বছরে পনের বিশ হাজার টাকা লাভবান হতেন। বর্তমানে তিনি এই জমিতে কুল বাগান করে কুল বিক্রী করে লক্ষাধিক টাকা লাভবান হচ্ছেন।

 তিনি জানান, কুল বাগানের পরিচর্যার মাঝে রয়েছে ফল শেষ হওয়ার পর গাছ ছাটানো গোবর বা কম্পোষ্ট জাতীয় সার গাছের গোড়ায় দেওয়ার পর পরিমিত রাসায়নিক সার প্রয়োগ কার। নতুন পাতা গজানোর পর পাতা কোকড়ানে থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কীটনাশক দিতে হয়। ফল আসার পর নিয়মিত পরিচর্যা করলে প্রতি গাছ থেকে পঁচিশ/ ত্রিশ কেজি কুল পাওয়া যায়। কুল পরিপক্ব হলে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ এই দুই মাস নিয়মিত কুল বিক্রী করতে পারেন। এই প্রতি কেজি কুল আশি থেকে নব্বই টাকা করে বাগানেই বিক্রী হচ্ছে। এই আপেল আপেল এবং থাই কুল খেতে অত্যান্ত সু স্বাধু এবং এর প্রতিটি কুল আকৃতিতে বড় হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা রয়েছে ব্যপক। তাই স্থানীয় প্রবাসীরা শখের বসত এই কুল বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে নিয়ে যাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যেও। 

তিনি আরও জানান,মুকুল হতে কুল কলিতে পরিণত হওয়ার পর অনেক সময় কুল হলুদ রং হয়ে ঝড়ে যায় এবং এক ধরণের পচন ধরে। এ থেকে রক্ষা করতে পারলে এই বাগান থেকে আরও লাভবান হওয়া যেত। কুল চাষি মুহা. ফজলুর রহমান উপজেলার  দশদোনা ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক। 

 

এ বিষয়ে মনোহরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহা.মাহবুবুর রশিদ জানান,এই অঞ্চলের মাটি কুল চাষের জন্য উপযোগী। কৃষকরা  সুন্দর পরিকল্পনা এবং পরিচর্যার মাধ্যমে কুল চাষ করেলে অন্যান্য ফসল থেকে আরো লাভবান হওয়া সম্ভব।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ