বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন উচ্ছেদে সমন্বিত অভিযান শুরু
গাজীপুর সংবাদদাতা: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় অবৈধ দোকান-পাট, বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন উচ্ছেদ সমন্বিত উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার জাগ্রত চৌরঙ্গী ভাস্কর্যের নীচে উচ্ছেদ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গাজীপুর সিটি নির্বাচন-২০১৮এর রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রকিব উদ্দিন মন্ডল।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জিব কুমার দেবনাথ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম ও এনডিসি এবি কুদরত-ই-খুদাসহ সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রকিব উদ্দিন মন্ডল বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন থেকে প্রতীক বরাদ্দের আগ পর্যন্ত কেউ বাইরে মিছিল, মিটিং করতে পারবে না, নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার স্থাপন করতে পারবে না। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।
তারপরও কিছু এলাকায় পোস্টার-ব্যানার রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় সিটি করপোরেশন, নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সমন্বিতভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে নির্বাচনী অবৈধ, ফেস্টুন, বিলবোর্ড অপসারন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে যারা এলাকায় বা রাস্তায় যেসব ব্যানার-ফেষ্টুন ও বিলবোর্ড লাগিয়েছে তাদের সেগুলি নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
কেউ নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গ করলে তাকে প্রথমে সতর্কীকরণ এবং সতর্ক না হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, প্রার্থী য দলেরই হোক সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, গত ১ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনার একটি পরিপত্র জারি করেছে। ১৫টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
কেউ আচরন বিধি লঙ্ঘন হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন জানান, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১২এপ্রিল, যাচাই-বাছাই হবে ১৫-১৬ এপ্রিল এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় হলো ২৩ এপ্রিল।
২৪ এপ্রিল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। ১৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।