শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রমজানে পণ্য বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় টিসিবি

 

স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তাদের কাছে ন্যায্যমূল্যে মসুর তেল, ডাল, চিনি, খেজুর ও ছোলা সরবরাহ করবে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এই পাঁচ ধরনের ৭ হাজার ১০০ টন পণ্য ১৮৭টি ট্রাক ও ২ হাজার ৭৮৪ জন ডিলারের মাধ্যমে দেশজুড়ে খোলাবাজারে বিক্রি করবে টিসিবি। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতি রমজানের টিসিবি বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি করে থাকে। তারপরেও অদৃশ্য কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। রমজানের আগে বাণিজ্য এবং খাদ্যমন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়ে থাকে বাজার সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তার পরে কেনো দাম বাড়ে তার কোন উত্তর নেই।

সূত্রমতে, টিসিবির পরিকল্পনা অনুয়ায়ী খোলাবাজারে বিক্রির জন্য এ বছর ১ হাজার মেট্রিক টন বা ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৯৫৭ লিটার তেল, ১ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন মশুর ডাল, ২ হাজার মেট্রিক টন চিনি, ১ হাজার ৯৫৫ মেট্রিক টন ছোলা এবং ১শ’ মেট্রিক টন খেজুর কেনা হবে। এরমধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ২ হাজার টন চিনি ও দেড় হাজার টন তেল দরপত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। আর আন্তর্জাতিক বাজার অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া থেকে কেনা হয়েছে ২ হাজার টন ছোলা ও দেড় হাজার টন মসুর ডাল। এছাড়া অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১শ’ টন খেজুর কেনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানিকৃত ছোলা ও মশুর ডাল শিগগিরই চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে এবং তা খালাস করে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে গুদামজাত করা হবে। এসব পণ্য ভোক্তাসাধারণের কাছে বিক্রয় শুরু হবে রোজার ৭ থেকে ১০ দিন আগে। পণ্যগুলো টিসিবির নির্ধারিত বিক্রয়কেন্দ্র, ডিলার ও ট্রাকসেলে পাওয়া যাবে। এ বছর ১৮৭টি ট্রাকসেলের মধ্যে রাজধানীতে ৩৫টি, চট্টগ্রামে ১০টি, অন্য বিভাগীয় শহরে ৫টি এবং প্রতিটি জেলায় ২টি করে ট্রাক থাকবে। পণ্য সরবরাহে এ বছর কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে টিসিবি।

টিসিবির তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, বাজার সহনীয় রাখতে পণ্য বিক্রির সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে টিসিবি। পণ্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। ডিলারদের মাধ্যমে শেষ রমজান পর্যন্ত পণ্য বিক্রি করতে চায় টিসিবি। ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিক্রি কার্যক্রম চলবে বলেও জানান তিনি।

গত রোজায় কেজি প্রতি চিনি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৮০ টাকা, সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা এবং খেজুর ১২০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। ওইবছর একজন ক্রেতার একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি, ৩ কেজি মসুর ডাল, ৫ লিটার সয়াবিন, ৫ কেজি ছোলা এবং ১ কেজি খেজুর কেনার সুযোগ ছিল। তবে এ বছরের জন্য এখন পর্যন্ত পণ্যের মূল্য ও পরিমাণ নির্ধারণ করেনি টিসিবি। পণ্য বিক্রি শুরু হওয়ার আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ