শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

মার্চ মাসে রাজনৈতিক সন্ত্রাস

মুহাম্মদ ওয়াছিয়ার রহমান : [তিন]
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। শহীদ আব্দুল হামিদ হলে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষে রুয়েট সহ-সভাপতি আবিদ হাসান মিতুল, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক রাফি, প্রচার সম্পাদক মাহথীর, ক্রীড়া সম্পাদক রবিন, কর্মী ইমরান ও রাহাতসহ ১১ জন আহত হয়। পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ রুয়েটের সব কমিটি স্থগিত করে। রুয়েট শাখা সভাপতি নাঈম রহমান নিবিড় ও সাধারন সম্পাদক চৌধূরী মাহফুজুর রহমান তপুকে শোকজ করা হয়। উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে এই মারামারি হয়।
৯ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে মল চত্ত্বরে সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগ সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মিশকাত হাসান, এফ রহমান হল শাখা বহিষ্কৃৃত নেতা ওমর ফারুক ম-ল সাগর ও এসএম হল শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি কামাল হোসেন আহত হয়। ছাত্রলীগ সূর্যসেন হল শাখা উপ-দফতর সম্পাদক সাগর ও উপ-ক্রীড়া সম্পাদক আসাদের নির্দেশে এই হামলা হয়। বরগুনার পাথরঘাটা পৌর ছাত্রলীগ সহ-সম্পাদক সোহাগ মিয়া ওরফে আতুর সোহাগ ও তার সহযোগী রুবেল কুটিয়ালসহ আরো কয়েকজনের হাতে ছুরিকাঘাতে আহত পৌর ছাত্রদল ৫নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আসাদ উল্লাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা যায়। এ সময় তাদের ছুরিকাঘাতে আসাদের ফুসফুস, কিডনী ও হৃৎপি- ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তারা ডান পায়ের রগ কর্তন করে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বরইতলা গনি মেম্বারের বাড়ীর সামনে আসাদ ছাত্রলীগের হাতে আহত হয়। পুলিশ আসামী জাহাঙ্গীর খানকে আটক করে। ১২ মার্চ ঢাকার সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটরিয়ায় মার্কেটিং বিভাগের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে দরজা-জানালা ভাংচুর করে শহীদ রফিক-জব্বার হল ছাত্রলীগ। জাবি ছাত্রলীগ সহ-সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম রবিনের নেতৃত্বে আসিফ রিবন, দ্বীপ ও সুপ্তসহ ১০-১১ জন হামলায় অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে অধ্যাপিকা নিগার সুলতানার প্রাইভেট কারের সাথে রবির মটর সাইকেলের ধাক্কা লাগলে নিগার সুলতানার সাথে রবির কথা কাটাকাটি হয় এবং পরে তারা হঠাৎ হামলা করে। ১৪ মার্চ নরসিংদীর পলাশে ঘোড়াশাল শহর ছাত্রদল সিনিয়র যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিনের উপর হামলা করে ঘোড়াশাল পৌর ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও শহর ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ মিয়াসহ ৮-১০ জন। ১৩ মার্চ সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবন-বি এর টংয়ে খাওয়ার সময় সাংস্কৃতিক কর্মী জুয়েল রানাকে পেটায় ছাত্রলীগ নেতা আলী হাসান গ্রুপের নেতা-কর্মীরা।
১৫ মার্চ মেহেরপুরের গাংনীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান এমপি মকবুল হোসেনের পিএস সাইফুজ্জামান শিপু, ছাত্রলীগ কর্মী তুষার ও ইমরানসহ বেশ কয়েক জনের হাতে বালিয়াঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাব উদ্দিন মারপিটের স্বীকার হয়। ১৬ মার্চ ঢাকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ২১ ব্যাজের ছাত্ররা অভিযোগ করে ১৫ ডিসেম্বর ঐ ব্যাচের রজত জয়ন্তীর টাকা মেরে দেয় অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মীর মেহেদী হাসান টিটু ও তার সহযোগী সাইফ উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন ও বিজ্ঞাপন বাবদ আয়ের ১০ লাখ ২৬ হাজার ৭০০ টাকা মেরে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন খাতের টাকা পরিষদ করার জন্য তিনি টাকা নিয়েও তা পরিশোধ করেন নি। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে ডাচ বাংলা ব্যাংকে “সতীর্থ ২১ জাবি” নামে হিসাব খোলা হয় কিন্তু কাউকে না জানিয়ে গোপানে তারা এক্সিম ব্যাংকে একই নামে ০১৯১৩১০০৩৩৩৭৬৭ নম্বর হিসাব খুলে বিজ্ঞাপনের টাকা সেখানে নিয়ে নেয়। রাজশাহীর শাহ মাখদুম থানার রায়পাড়া এলাকায় ছাত্রলীগ দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২ জন। শাহ মাখদুম থানা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক মাসুদ হোসেন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগ যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবিন ও ছাত্রলীগ কর্মী নাজমুল ইসলাম আহত হয়। ১৭ মার্চ চট্টগ্রামের মিরসরাই ফকিরহাট বাজারে সাবেক উপজেলা শিবির সভাপতি রিদওয়ানুল হকের উপর হামলা করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ভাদুরা গ্রাস থেকে ১টি এলজি ও ৫টি রামদাসহ ছাত্রলীগ রামগঞ্জ উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
১৮ মার্চ ঢাকার সাভার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ মাওলানা ভাসানী হল ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের মধ্যে মারামারিতে মাশুক মওলা আঙ্গুর, সেজান ও আসাদ আহত হয়। ছাত্রলীগের আসিফ, বিকাশ ও জাহিদ শেখসহ আরো কয়েকজন হামলায় অংশ নেয় বলে অভিযোগ। নাটোর সদরে যুবলীগের দলীয় কোন্দলে কানাইখালী ব্রাক ব্যাংকের সামনে যুবলীগ কর্মী ইমরান খুন হয়। ২০ মার্চ সিলেট শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতকড়া রেস্ট্ররেন্টের সামনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৭ জন। শাবি ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক ও সাজিদুল ইসলাম সজীব গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে এস.এম আব্দুল্লাহ রনি এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানসহ ৭ জন আহত হয়। সিলেট শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শাহ পারাণ হলে ছাত্রলীগ দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, ভাংচুর ও লুটপাট করে সাইদ-সবুজ গ্রুপ। ঘটনায় ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েমকে আটক করে পুলিশ। ২১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ বিজয় একাত্তর হলের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক কাজী তানভীর, সূর্যসেন হল সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন ও মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের ছাত্র মুসলিম উদ্দিন হিমেলকে র‌্যাব-৪ তুলে নিয়ে গেলে প্রতিবাদে তারা র‌্যাবের গাড়ী ভাংচুর ও সড়ক অবরোধ করে। ২২ মার্চ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রজপাড়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম মীর, তার সহযোগী রুবেল মোল্লা ও জলিল তালুকদারকে ১০টি রামদাসহ আটক করে পুলিশ। ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এফ. রহমান হলে ছাত্রলীগ হল শাখা উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক হাসান গাজী সালাম না দেয়ায় হল শাখা ছাত্রলীগ বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক কাউসার মন্ডল ও অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সেলিম রেজা তাকে মারধর করে।
২৫ মার্চ সিলেট শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয়ে দলীয় কোন্দলে ছাত্রলীগ শাহ পরাণ হল শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান নাঈম ও সাদ্দাম হোসেন লিখন আহত হয়। ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান নাঈম ও শাবি ছাত্রলীগ গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল, ফলে এই ঘটনা ঘটে। ফেনী শহরের ডাক বাংলোর সামনে ছাত্রলীগ দু’গ্রুপের সংঘর্ষ। ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্রলীগ নেতা হৃদয় ও মিনার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে হৃদয়, তানভীর আহমেদ, ইকবাল হোসেন, ইমরুল, এমরান হোসেন, মেহেদী হাসান ও কাউসার আহমেদসহ ১০ জন আহত হয়। সিলেটের সুবিদ বাজার এলাকা থেকে ২০০ পিস ইয়াবা, ২টি শর্টগান, ৭টি কার্তুজ ও দেশীয় অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ রাসেল, মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আজমল হোসেন, তাদের সহযোগী সৈয়দ নাইমুর রহমান ও শেখ মোঃ সুলতান মির্জাকে আটক করে র‌্যাব। ঘটনায় ছাত্রলীগ আব্দুর রশীদ রাসেল ও আজমল হোসেনকে বহিষ্কার করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সার্জেন্ট জহুরুল হক ছাত্রলীগ সভাপতি সোহানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদার গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্ট ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। লালমনিরহাটের আদিতমারীতে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইদুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় কারাগারে গেলেন সাবেক উপজেলা সাধারন সম্পাদক সাঈদ মুরাদ। গত ১৫ মার্চ মাইদুলকে পিটিয়ে আহত করে মুরাদ।
২৬ মার্চ রাজবাড়ীর কালুখালীতে বিএনপি উপজেলা অফিসে আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা ও ভাংচুর করে। তাদের হামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন সাইফুল, বোয়ালিয়া ইউপির ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন ও বিল্লাল হোসেন আহত হয়। এ সময় অফিসের দরজা, জানালা, সাটার ও চেয়ার ভাংচুর করা হয়। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মিঠাছরা বাজারে ছাত্রলীগের দলীয় কোন্দলে ৩ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। উপজেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দিন রুবেল ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কফিল উদ্দিন রিহাব গ্রুপের দ্বন্দ্বে ছাত্রলীগ কর্মী বাপ্পি ইসলাম, ইমন ও আরমান আহত হয়। ২৭ মার্চ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে লালন শাহ হল থেকে ১১ বোতল ফেনসিডিল ও ৩টি চাপাতি উদ্ধার করে প্রক্টরিয়াল বডি। ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ ব্যাপক ভাংচুর করে এবং ৩ জনকে আটক করলেও  ১ জনকে জোর করে ছিনিয়ে নেয় ছাত্রলীগ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাহ জালাল হল ও সোহরাওয়ার্দী হলে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ২০টি দেশী অস্ত্রসহ ছাত্রলীগের ২০ নেতা-কর্মীকে আটক করে। নাটোর শহরে কানাইখালী কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে যুবলীগের দলীয় কোন্দলে কর্মী সাইফুল শেখ রিপন ওরফে কানা রিপন খুন হয়। ২৮ মার্চ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির আখ্যা দিয়ে মেধাবী ছাত্র সজীব হেসেন, জাকির হোসেন, আরিফ হোসেন ও হীরাকে মারধর করে পুলিশে দেয় ছাত্রলীগ। ওই ছাত্ররা গ্রুপ ষ্টাডি করা কালে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা তাদের কাছে চাঁদাদাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাদের শিবির আখ্যা দিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। প্রক্টর জানান আটক ছাত্ররা শিবিরে নয়।
যুবলীগ: ৩ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মজমপুর বাজারের পাশে সরকারী জমি দখল করে ৩টি ফলজ গাছ কেটে দোকান তৈরী করে যুবলীগ নেতা দুলাল ভূঁইয়া ও তাইজুদ্দিন। এলাকাবাসী অভিযোগ করে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব কামরুল হাসানের সহায়তায় তারা এই কাজ করে। ৪ মার্চ নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সরকারী খাদ্যগুদাম এলাকায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা, সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। উপজেলা যুবলীগ নেতা রিপন ও ছাত্রলীগ উপজেলা নেতা আপেল মাহমুদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সিরাজুল ইসলাম, লাখ মিয়া ও রনিসহ ১০ জন আহত হয়। ৫ মার্চ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডুতে ভূঁইয়াপাড়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে যুবলীগ দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২ জন। পৌর যুবলীগ ওয়ার্ড সভাপতি দাউদ সম্রাট গ্রুপের হাতে ৪নং ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ ও তার ভাই টিটু ছুরিকাহত হয়। ৬ মার্চ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গাংচিল বাজারে যুবলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ককটেল বিস্ফোরণ ও স্বংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। চরএলাহী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও যুবলীগ ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক গ্রুপ এবং একই ইউনিয়ন মেম্বার ও ইউনিয়ন দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে মোজাম্মেল হোসেন, আবুল কাশেম, নূর ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, রবিউল হোসেন, সিরাজ, সালাহ উদ্দিন ও ইমরানসহ ১৫ জন আহত হয়। ৭ মার্চ গাজীপুরের শ্রীপুরে কেওয়া বাজার থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি প্রাইভেট কার থেকে যুবলীগ নেতা হাসানুল ইসলাম আকন শাওনকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন ও ৭টি মোবাইলসহ আটক করে র‌্যাব-১।
১০ মার্চ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এখলাসপুর স্কুল সংলগ্ন চৌকিদার বাড়ীর সামনে মাদক কারবার নিয়ে যুবলীগ দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে মোহাম্মদ আলী ও রবিনকে খুন করে দলীয় প্রতিপক্ষ গ্রুপ। যুবলীগ নেতা সুমন গ্রুপ ও মোহাম্মদ আলী গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। ১২ মার্চ পাবনার বেড়ায় পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করা কালে মেয়েটি চিৎকার করলে যুবলীগ কর্মী নূরু খাঁ পালিয়ে যায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ