শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

মন্ত্রী এমপিদের প্রচারণার সুযোগ দিলে নির্বাচন কমিশন আস্থা হারাবে -আমীর খসরু

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনী ব্যবস্থায় দেশের মানুষ আস্থা হারিয়েছে। এখন সিটি নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপিদের প্রচারণার সুযোগ দিলে যে আস্থাটুকু ছিল নির্বাচন কমিশন সেটাও হারাবে। নির্বাচন একপেশে করতেই আওয়ামী লীগের চাপে নির্বাচন কমিশন এ বৈঠক ডেকেছে। যেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে এতো অবিশ্বাস ও সন্দেহ সেখানে নির্বাচন কমিশন মন্ত্রী এমপিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে কি পারবে না এমন জরুরি বৈঠক অপ্রাসঙ্গিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দল আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি এ্যাডভোকেট ফারহানা জাহান নিপার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জাহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাশুকুর রহমান মাশুক প্রমুখ।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ক্ষমতা দখলে থাকবে কিন্তু নির্বাচনের জন্য কোনো স্পেস থাকবে না সরকার সেই দিকে এগোচ্ছে। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদেশের মালিক জনগণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের জনগণের অধিকারও আপনারা হরণ করে নিয়েছেন। বিএনপির কথা চিন্তা করে লাভ নেই। জনগণের কথা ভাবুন। ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র এদেশের মানুষ আর সফল হতে দেবে না।
হায়াত মউত আল্লাহর হাতে খালেদা জিয়া সম্পর্কে এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এ কথায় বুঝা যায় তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ক্ষমতা মাথায় উঠে গেলে কথাবার্তার কোনো ভারসাম্য থাকে না। আওয়ামী লীগ নেতাদের এসব দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা তাদের নিজেদেরই বিপদ ডেকে আনবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচনেও একপেশে ক্ষমতালাভের আশায় মন্ত্রী ও এমপিদের নির্বাচনী প্রচারণায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক। এটা বিশ্বের কোনো সভ্য দেশে নেই। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী আবহাওয়ার উপর আস্থা নেই। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ নিজস্ব চিন্তায় সব কিছু করতে চায়। তাদের চিন্তায় শুধু নির্বাচন নেই আছে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ যা করছে তা জনগণ মেনে নেবে না।
তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার আলোচনা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, তারেক জিয়া গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, যুক্তরাজ্যে আছেন। আর যুক্তরাজ্য জানে বাংলাদেশে একটি স্বৈরশাসক গোষ্ঠী ক্ষমতায়। যারা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তারেক জিয়াকে দেশে ফেরত আনার বক্তব্য দিয়ে জনগণকে ধোঁকা দেয়া হচ্ছে। জনগণ এ সরকারের কথা আর বিশ্বাস করে না।
জাহিরুল হক শাহাজাদা মিয়া বলেন, আগামীতে বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন কঠিন থেকে আরও কঠিনতর হবে। এ দেশের জনগণ হাতে হাত রেখে বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে শামিল হবে। বেগম জিয়া যদি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন তাহলে দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আওয়ামী লীগ রণিদের মতো কর্মী দিয়ে রাজনীতি করছে। এ সব রাজনৈতিক কর্মী দেশে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সে কারণে তারা নিজেরাই এখন ভীত সন্ত্রস্ত। সংসদ বহাল রেখে কোনো দেশে নির্বাচন হয় না। হাসিনাকে সরকার প্রধান রেখেও এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
আলাল বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন কারাগারে বালিশ যাচ্ছে। বালিশ পাঠান কোনো সমস্যা নেই। বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠান। কারাগার থেকে ওই বালিশেই ভর করে ক্ষমতায় যাবে বিএনপি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ