বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা ও বাংলাদেশ’

রাবি রিপোর্টার : ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দু‘টি, সোনার বাংলা ও বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সাল পরে বাংলার মানুষ আস্তে আস্তে স্বাধীনতা, মুক্তিয্দ্ধু ও ঐতিহাসিক মুজিবনগর কি, সে সম্পর্কে ভুলতে শুরু করেছিল। দেশকে স্বাধীন করতে হলে একটি সুসংগঠিত সরকার গঠন করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত হয়। তবে এর মূলে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’ এসব কথা বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান। মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে ১৭ই এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করার লক্ষে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহন করে। এ অস্থায়ী সরকার যদি গঠন করতে না পারত তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারতনা। ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার গঠন করাই  ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল সোপান। মুজিবনগর সরকার থেকেই আজকের বাংলাদেশ।’

এ সময় ভিসি মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এ  সরকার ব্যবস্থা চালু না হলে কে বা কার নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছে সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যেত। জাতি একটি বৈধ সরকার ব্যবস্থার প্রয়োজনবোধ করেছিল। এ সরকার ব্যবস্থার ফলে মুক্তিযুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাঙালি পেল একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। 

এর আগে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে নিযুক্ত সাবেক হাইকমিশনার ও সাবেক রাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এম সাইদুর রহমান খান বলেন, দেশ স্বাধীন করার পেছনে সকলের ভূমিকা ছিল, কিছু লোক হয়ত বিরোধিতা করেছিল কিন্তু সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি। ১৯৭১ সালে ১০ এপ্রিল ১ম মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য ৫সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিসভা মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী মুজিবনগর বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে গোপনীয় ভাবে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। কিন্তু ১৭এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। তাজউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। তিনি মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিসভা দায়িত্ব ও কার্যক্রম সঠিক ভাবে পরিচালিত করতে পেরেছিলেন বলেই আমরা দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি।

এ সময় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, কোষাধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ