শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

এমন যদি হতো!!!

সাদরুকা আফরিন : ★ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্লাসরুমে একটি স্নিগ্ধ হাসির সাথে আস্সালামু আলাইকুম বলে প্রবেশ করল। ছাত্ররা সবাই স্নিগ্ধ হাসির পরশে কন্ঠ মিলিয়ে বলল, ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়ারহমাতুল্লাহ্। তারপর....
শিক্ষক: তোমরা সবাই জানো, আগামীকাল পহেলা  বৈশাখ। একটি অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবে বাঙালিদের কাছে পরিচিত হয়ে আসছে।
ছাত্রবৃন্দ: জ্বি স্যার।
শিক্ষক: তোমরা কি চাওনা এটাকে আমরা অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবেই পালন করি?
ছাত্রবৃন্দ: হ্যাঁ স্যার।
শিক্ষক: আচ্ছা এবার বল তো, অসাম্প্রদায়িকতা বলতে তোমরা কি বুঝ?
কামাল (মুসলিম ছাত্র): অসাম্প্রদায়িকতা হচ্ছে এমন এক অনুভূতি; যে অনুভূতিতে এক ধর্মের মানুষ অন্যধর্মের মানুষের প্রতি সুবিচার করবে। কেউ কারো ধর্ম পালন করতে নিষেধ বা বাধ্য করবেনা। ধর্মীয় অনুভূতিতে সবাই জাগ্রত থাকবে।
 তমাল (হিন্দু ছাত্র): জ্বি স্যার, কামাল ঠিকই বলেছে। অসাম্প্রদায়িকতা বলতে এ অনুভূতিকেই বোঝায়।
শিক্ষক: হিন্দু ছাত্র যারা আছো সবাই দাঁড়াও। আচ্ছা, পহেলা  বৈশাখের এ অসাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠানে তোমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কোন ক্ষতি হবে কি?
তমাল: না স্যার। আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কোন আঘাত আসবে না। বরঞ্চ, আমাদের ধর্মীয় অনুভূতির সাথে এ অনুষ্ঠানের যথেষ্ট মিল রয়েছে। (শুধু....)
শিক্ষক: বস। এবার মুসলিম ছাত্ররা উঠ। পহেলা বৈশাখ উৎযাপনে তোমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কোন ক্ষতি হবে কি?
কামাল: জ্বি স্যার, অবশ্যই। এ উৎসবে এমন কিছু বিষয়ের আয়োজন করা হয় (যেমন : মঙ্গল শোভাযাত্রা, সূর্যকে স্বাগত জানানো) তা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতির মূলে আঘাত হানে। এ অপরাধ শিরক্ নামে পরিচিত। শিরকে গোনাহ আল্লাহ্ কখনোই ক্ষমা করবেন না।
মামুন (মুসলিম): জ্বি স্যার, এছাড়াও এ উৎসবে যে অনুভূতি নিয়ে পোশাক থেকে শুরু করে চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত যা করা হয়ে থাকে  ইসলাম সে অনুভূতিকে সমর্থন করে না।
তমাল: স্যার, আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে তেমন আঘাত আসেনা শুধু এ দিনে যে অশ্লীলতাগুলো হয় তা আমাদের ধর্মও সাপোর্ট করেনা।
শিক্ষক (হিন্দু ছাত্রদের উদ্দেশ্যে): আচ্ছা পহেলা বৈশাখের সাথে তোমাদের যথেষ্ট মিল তা কি তোমরা তোমাদের বাড়িতে বা সার্কেলে করতে পারো?
তমাল: জ্বি স্যার।
শিক্ষক (মুসলিম ছাত্রদের উদ্দেশ্যে): ইসলাম অর্থাৎ তোমাদের অনুভূতির মূলকে কি তোমরা তোমরা তোমাদের বাড়িতে বা সার্কেলে সীমাবদ্ধ রাখতে পারো?
মামুন: না স্যার, এ অনুভূতি আমাদের সবসময়, সবজায়গাতেই বিরাজ করে।
শিক্ষক: তাহলে পহেলা বৈশাখ উৎযাপন কিভাবে হবে? উৎযাপন করলে তো অসাম্প্রদায়িক হবে না। এক ধর্ম-করলে ভাল, না করলে তাদের কোন ক্ষতি হবে না। অন্য ধর্ম-তাদের ধর্মীয় অনুভূতির অস্তিত্ব বিলিন হবে। তাহলে!...
তমাল: তাহলে স্যার অসাম্প্রদায়িক উৎসবের আমেজেই আমরা প্রতিষ্ঠান থেকে পহেলা বৈশাখ উৎযাপন বর্জন করলাম।
শিক্ষক: মুসলিম ছাত্রদের পহেলা বৈশাখ বর্জনের বিরুদ্ধে কোন কথা আছে?
কামাল: না স্যার।
 “এসো অসাম্প্রদায়িকতার গান গাই.....
“তোমরা যার ইবাদত কর, আমি তার ইবাদত করি না।আমি যার ইবাদত করি তোমরা তার ইবাদত কর না।”

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ