বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

শামসুল ইসলামকে মুন্সিগঞ্জের পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন

গতকাল শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী এম শামসুল ইসলামের নামাযে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির  সিনিয়র নেতা ও সাবেক মন্ত্রী শামসুল ইসলাম তার নির্বাচনী এলাকা এবং দেশের জন্য অনেক অবদান রেখে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে বিএনপি ও বাংলাদেশ হারালো একজন নেতাকে, যে শূন্যতা কোনও দিন পূরণ হবার নয়। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলামের জানাযা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। জানাযা শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির ও এর অঙ্গ-সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
ওলামা দলের সভাপতি এম এ মালেকের পরিচালনায় জানাযায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, আহমদ আযম খান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, এমরান সালেহ প্রিন্স, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সানা উল্লাহ মিয়া, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেনসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান আজাদ মসজিদে এম শামসুল ইসলামের প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে গতকাল সকাল ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
নয়া পল্টনে জানাযার পর দুপুরে এম শামসুল ইসলামের কফিন নিয়ে যাওয়া হয় মুন্সিগঞ্জে তার গ্রামের বাড়িতে। মুন্সিগঞ্জ সদর থানার তিনসুড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শামসুল ইসলাম। শ্বাসকষ্টসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগ নিয়ে গত ১৭ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
১৯৯১-১৯৯৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের বাণিজ্য, টেলিযোগাযোগ ও পরে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান এম শামসুল ইসলাম। ২০০১ সালে বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে তাকে প্রথমে ভূমি ও পরে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালের শেষে দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়া এম শামসুল ইসলাম ২০১৪ সালে দলের কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ