শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা ছিল না -----হ্যালসল

স্পোর্টস রিপোর্টার : টাইগারদের ধারাবাহিকভাবে ম্যাচ জিততে হলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের পাশাপাশি তরুণদেরও অবদান রাখতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের সাবেক সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসল। প্রায় দেড় মাস পর গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে এসেছিলেন সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসল। তিনি জানিয়েছেন পারিবারিক কারণেই তিনি দায়িত্ব ছেড়েছেন। বিসিবির সাথে বাকি থাকা আর্থিক লেনদেন নিয়ে কথা বলেছেন। সাথে বিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিডিয়ার কাছে বাংলাদেশ দলের জন্য কিছু পরামর্শও দিলে দিয়ে তিনি বলেন,‘এই দলে ভালো এক ঝাঁক সিনিয়র ক্রিকেটার আছে। কিন্তু শুধু তাদের দিয়েই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে ম্যাচ জেতা যাবে না। আরও ক্রিকেটার তুলে আনতে হবে। সেটিই পরামর্শ থাকবে। সিনিয়রদের পাশাপাশি উঠতিদের সামর্থ্যটা বের করে আনতে হবে।’ ২০১৪ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন হ্যালসল। এরপর দুই বছর কাজ করে পদোন্নতি পেয়ে দলের সহকারী কোচ হিসেবে রুয়ান কালপাগের জায়গা নেন। গত মাস পর্যন্ত ছিলেন টাইগারদের সঙ্গে। তবে গুঞ্জন আছে তাকে নিয়ে অনেক অভিযোগই ছিল জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের। সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে দ্বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবশ্যই নিজস্ব মতামত আছে। আমি সবসময়  চষ্টা করেছি বাংলাদেশ দলকে সেরাটা দিতে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের কারও সঙ্গে আমি কোনো সমস্যা দেখিনি। এসব নিয়ে কিছু জানা নেই আমার। আপনারা নিশ্চয়ই অনেক আন্তর্জাতিক দলকেই দেখেছেন। ক্রিকেটাররা যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেদের নিরাপদ ভাবছে ( নিরাপদ বলতে শারীরিক দিকটা বোঝাচ্ছি না, তাদেরকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া ও দেখভাল করা, সমর্থন করা) তাহলে তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চটা পাওয়া যাবে। যে ক্রিকেটাররা দলে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে লড়ছে, তারা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই দলে ভালো এক ঝাক সিনিয়র ক্রিকেটের আছে। কিন্তু শুধু তাদের দিয়েই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধারাবাহিক ভাবে ম্যাচ জেতা যাবে না। আরও ক্রিকেটার তুলে আনতে হবে। সেটিই পরামর্শ থাকবে। সিনিয়রদের পাশাপাশি উঠতিদের সামর্থ্যটা  বের করে আনতে হবে।’ টাইগারদের সঙ্গে দ্বন্ধের কথা অস্বীকার করলেন হ্যালসল। পরিবারকে সময় দিতেই পদত্যাগ করেছেন বলে জানালেন ৫৯ বছর বয়সী এ কোচ,‘কারণ পুরোপুরিই পারিবারিক। আমার নতুন পরিবার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেকটাই সময় কেড়ে নেয়। পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়। এটিই কারণ।’ ক্রিকেট ক্যারিয়ার জিম্বাবুয়েতে হলেও কোচিং ক্যারিয়ারের মূল সময়টা ইংল্যান্ডেই কাটিয়েছেন হ্যালসল। এছাড়াও ক্রিকেটীয় কার্যক্রমের জন্য ঘুরেছেন বিভিন্ন দেশে। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশেই তরুণরা খুব দ্রুত জাতীয় দলে  খেলেন বলে জানালেন হ্যালসল। তিনি বলেন,‘আরও অনেক বড় দলের খুব ভালো ‘এ’ দল ও ইমার্জিং  প্লেয়ার্স  প্রোগ্রাম থাকে। তার পরও অনেক সময় খেলোয়াড় উঠে আসে না সেভাবে। একদিক  থেকে ভাবলে বাংলাদেশের জন্য এটি সুবিধাও যে দ্রুত সরাসরি প্রতিভাবানরা জাতীয় দলে উঠে আসছে। কিন্তু তারপর তাদেরকে উপযুক্ত সমর্থন দিতে হবে।’  

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ