শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কাউখালীর আবাসনে ১০০টি পরিবার ভাঙা ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছে

কাউখালী : কাউখালী উপজেলার গন্ধর্ব আবাসনের ব্যারাক হাউজের ঘরগুলো এভাবেই টিনের চালাগুলো বড় বড় ছিদ্র হয়ে গেলে পলিথি ও খড়কুটো দিয়ে বৃষ্টি ও রোদ নিবারণের চেষ্টা

মোঃ তারিকুল ইসলাম পান্নু, কাউখালী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা: পিরোজপুরের কাউখালী গন্ধর্ব আবাসনের ১০০টি পরিবারের ব্যারাক হাউজের ছাউটিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ভাঙা ঘরে খোলা আকাশের নীচে থাকার মতো মানবেতর জীবন যাপন করছে। জানা যায়, উপজেলার ২ নং আমরাজুড়ি ইউনিয়নের অসহায়, দুঃস্থ ও গৃহহীন মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসাবে ২০০৫ সনে সরকারিভাবে ১০০টি ব্যারাক হাউজ নির্মাণ করে ১০০টি পরিবারকে বসবাসের জন্য হস্তান্তর করে। সেই থেকেই আবাসন প্রকল্পে বসবাস করে আসছে। ২০০৭ সনের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিড ও আইলার ঘর বাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যারাকের টিনের চালা বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ছিদ্র হয়ে যায়। রোদ বৃষ্টিতে দারুন কষ্টে তারা মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো নিজেদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেরামত ও সংস্কার করে বসবাসের নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন আর কোন ক্রমেই ওই ঘরগুলোতে বসবাস করা যাচ্ছে না বলে আবাসনের অধিবাসীরা জানান। বর্তমানে আবাসনের ১০০টি পরিবারের ৫-৬ শত জন নিয়ে ব্যারাক হাউজ গুলোর কোন রকম পরিথিন কিংবা খড় কুটো দিয়ে ছেয়ে জীবন যাপন করছে। বৃষ্টি ও রোদে তাদের ঘরের আসবাবপত্র সহ সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়। রাতে বৃষ্টি আসলে সারারাত জেগে থাকে পলিথিন মুড়ো দিয়ে। আবাসনে বসবাসকারী ইলিয়াস হোসে, মাহিনুর বেগম সহ অনেকেই জানান ঝড়, বৃষ্টি রোদে তারা কোন রকম পলিথিন দিয়ে মাথা গোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে। ব্যারাকগুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাওয়া বিষয়টি মন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতার জন্য আবেদন করেও কোন সুফল পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান এস,এম আহসান কবীর জানান তার কাছে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আবাসনবাসী অবহিত করেনি। এলাকা পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ