বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পেরে

আব্দুস ছামাদ খান, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পাওনা টাকা পরিশোধ করতে না পেড়ে ক্যামেরা ও মোটরসাইকেল রেখে পালিয়েছে খন্দকার মোহাম্মদ আলী বাবু নামে এক কথিত সাংবাদিক। খন্দকার মোহাম্মদ আলী বাবু বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের তামাই খন্দকার পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারি'র (ননি ডাক্তার)  ছেলে।
সে কলকাতা টিভি, দৈনিক ভোরের কাগজ, চ্যানেল এস, ৭১ বাংলা টিভি, জে টিভি, ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি, কে টিভি সহ বিভিন্ন চ্যানেল, পত্রিকা ও অনলাইনের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন স্থানে পরিচয় দিয়ে আসছে।
মোহাম্মদ আলী চ্যানেল এস টিভিতে নিয়োগ নেয়ার কথা বলে সাংবাদিক রেজাউল করিমের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্যামেরা কেনার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা প্রায় দুই বছর পূর্বে ধার নেয়। দুই বছর অতিবাহিত হয়ার পরও টাকা পরিশোধ করেনি। এমন অবস্থায় বুধবার টাকার চাপ দিলে মোটরসাইকেল রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। এছাড়া দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায় একটি নিউজের প্রতিবাদ দেয়ার কথা বলে সাংবাদিক জহুরুল ইসলামের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা দুই মাস পূর্বে নেয়। প্রতিবাদ নাদিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এমন অবস্থায় টাকা ফেরদ চাইলে ক্যামেরাটি রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। তবে মোটরসাইকেলটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রেজাউল করিম জানান, মোহাম্মাদ আলী তার জন্য চ্যানেল এস টিভিতে নিয়োগ আনবে বলে আমার নিকট থেকে ৫০ হাজার আর ক্যামেরা কেনার জন্য ৩০ হাজার টাকা দুই বছর পূর্বে ধার নেয়। তার সাথে দেখা হলে টাকার চাপ দেই। তখন সে মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। পরে মোটরসাইকেলটি বেলকুচি থানায় জমা দেই ও থানার পুলিশকে অবহিত করি।
এব্যাপারে সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জানান, দুই মাস পূর্বে আমার নিকট থেকে পত্রিকায় একটা নিউজের প্রতিবাদ দেয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা নেয়। প্রতিবাদ নাদিয়ে তালবাহানা শুরু করে। বুধবার তার সাথে দেখা হওয়ার পর টাকা ফেরৎ চাইলে ক্যামেরা রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে খন্দকার মোহাম্মদ আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের মধ্যে টাকা পাওনাকে কেন্দ্র করে একটি মোটরসাইকেল থানায় জমা আছে। তবে মোটরসাইকেলের মালিক মোহাম্মদ আলীকে থানায় আসতে বললে সে এখনও আসেনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ