শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে পাটের ব্যবহার বাড়াতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার: কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, পাট দিয়ে শুধু বস্তা উৎপাদন করলে চলবে না বরং টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে পাটের ব্যবহার বাড়াতে হবে। কৃষি খাতের পণ্য ও ব্যবহৃত প্রযুক্তির বহুমুখীকরণে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ‘ডিসিসিআই এগ্রোটেক এক্সপো ২০১৮’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, রিয়াদ হোসেন, পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আকবর হাকিম, আন্দালিব হাসান, হোসেন এ সিকদার, হুমায়ুন রশিদ, ইমরান আহমেদ, রাশেদুল আহসান, মামুন আকবর, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, এস এম জিল্লুর রহমান, ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, প্রাক্তন সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম, মো. সবুর খান, মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির প্রমুখ।

ইউএসএআইডি’র এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইনস প্রকল্পের সহযোগিতায় এগ্রোটেক এক্সপো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আয়োজিত এ মেলা চলবে আজ শুক্রবার পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের উৎপাদিত পাটের ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের এবং বাংলাদেশি বিজ্ঞানী দ্বারা পাটের জেনম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা পাটের সত্ত্বাধিকার অর্জন করেছি। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে শিল্পায়নের ধারা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং আশা করা যায় আগামী ২০ বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। আগামীর দিনগুলোতে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল কৃষি খাতের অন্যতম স্থান হিসেবে বিবেচিত হবে।

ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, দারিদ্র দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিল্পনির্ভর অর্থনীতির ভিত্তি হিসেবে কৃষির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি কৃষি খাতের উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম, উন্নত সার ও বীজ প্রদান এবং পণ্যের বহুমুখীকরণে কৃষি ভর্তুকি আরও বৃহত্তর পরিসরে প্রদান করা প্রয়োজন। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং কৃষিজ উৎপাদন সহায়ক উপকরণের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা সম্প্রসারণে এ খাতের উদ্যোক্তাদের এসএমই ফিন্যান্সিং ফান্ডের আওতায় সহজ শর্তে এবং জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে কৃষি খাতে ১ বিলিয়ন ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি-সংশ্লিষ্ট চাষি, ব্যবসায়ী, উপকরণ সরবরাহকারী, উদ্যোক্তা, প্রশিক্ষক, গবেষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ