শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

চিত্র-বিচিত্র

৪০০০ বছরের পুরনো মমির পরিচয় পাওয়া গেল
লন্ডন, ৬ মে : ৪ হাজার বছরের পুরনো একটি মিসরীয় সমাধিমন্দিরে লুটপাটের সময় মমির মাথা থেকে দেহ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে লুটেরারা। এরপর এটি কার মাথা তা নিয়ে বিভ্রান্তি কাটছিল না। সম্প্রতি সেই রহস্য উদঘাটন করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
এফবিআইয়ের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ৪ হাজার বছরের পুরনো মমিটির ডিএনএ নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয় মমিটির। ১৯১৫ সালে এ সমাধিমন্দিরটিতে অনুসন্ধান করা হয়। সে সময়েই দেখা যায় অতীতে কোনো এক সময় এ স্থানে লুটপাট করা হয়েছিল। আর লুটেরারা মমির মাথা থেকে দেহ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। প্রত্নতত্ত্ববিদরা এ মমির মাথার ব্যাপারে কোনোভাবেই নিশ্চিত হতে পারছিলেন না। কারণ এ সমাধিমন্দিরটি যে ব্যক্তির তিনি একজন গভর্নর। তার নাম ডিজেহুতিয়েনখট। তবে এ বিচ্ছিন্ন মাথাটি সে ব্যক্তির নাকি অন্য কারো তা বোঝা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের একটি জাদুঘরে সে সমাধিমন্দিরটির সব সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এতদিন রাখার পর এবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষজ্ঞরা মস্তকটির পরিচয় উদঘাটনে সচেষ্ট হয়।
এফবিআই বিশেষজ্ঞরা মমির দাঁত থেকে শেষ পর্যন্ত ডিএনএ নির্ণয় করতে সক্ষম হন। তারা জানান, এটা পুরুষের মমি। অর্থাৎ সেই গভর্নরেরই মাথা। অন্য কারো নয়। অতীতে ডিএনএ প্রযুক্তি এতটা উন্নত ছিল না। এমনকি হাজার বছরের পুরনো মমি থেকে ডিএনএ নির্ণয়ের সুবিধাও সেভাবে ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সে প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে। এতে মমির ডিএনএ বিজ্ঞানীরা নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণ করতে পারছেন।

যৌতুক ১৮ লক্ষ টাকা
মেয়ে মারা গেছে। এখন তার বিয়ের জন্য এমন একজন পাত্রকে খুজেঁ বের করা হল যে কিনা আরও তিন বছর আগেই মারা গেছে। আর সেই পাত্রকে বিয়ের যৌতুক হিসেবে দেয়া হয়েছে ১৯ লাখ টাকা। শুনে অবাক হলেও এমনটিই ঘটেছে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হেনানে।
সম্প্রতি দেশটির গণমাধ্যমে প্রচারিত এমন ভুতূড়ে বিয়ের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমত ভাইরাল হয়েছে আর হওয়ারই কথা।
খবরে বলা হয়, ২৭ হাজার মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় ১৮ লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে এক দম্পতি তাদের মৃত কন্যার বিয়ে দিয়েছেন। পাত্র হচ্ছেন তিন বছর আগে মারা যাওয়া এক যুবক। মৃত কন্যার বিয়ের জন্য এত মোটা অংকের যৌতুক দিলে কি হবে! দম্পতির দাবি, পরিবারকে অভিশাপমুক্ত করতে এই অর্থ তো কিছুই নয়।
আরেক বাসিন্দা লি লং লিউকোমিয়া রোগে ভুগে মারা গেছেন ২০১৬ সালে। এরপর থেকেই মৃত ছেলের জন্য একটি যোগ্য ও সুন্দরী পাত্রী খুঁজছিলেন তার মা। দুবছর পর অবশেষে খুঁজে পান ছেলের বৌ। পাশের গ্রামের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া লি জিউইন। এরপর তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিয়ের কথাবার্তা পাকা করে ফেলেন।
চীনের হেনানসহ অনেক প্রদেশেই গত তিন হাজার বছর ধরে মৃত আত্মার বিয়ের প্রচলন রয়েছে। একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানের যুগেও ছেদ পড়েনি এই প্রথায়। কখনও কখনও এমনও হয় যে, হাসপাতালে হয়তো রোগে ভুগে অবিবাহিত পুত্র সন্তানের মৃত্যুর সংবাদে স্বজনেরা কান্না করছেন। সেই সময়েই মৃত আত্মার বিয়ের জন্য হাজির হয়ে গেছে কন্যা পক্ষ। কান্নাকাটির ফাঁকেই দেখা যায় দুই পরিবার বিয়ের কথা পাকাপাকি করে ফেলেন। এবং সেটা হাসপাতালের করিডোরে দাঁড়িয়েই।
তাদের বিশ্বাস, অবিবাহিত অবস্থায় সন্তান মারা গেলে সে আত্মার ভবিষ্যত তো খারাপই, সেই সঙ্গে গোটা পরিবারটিও অভিশপ্ত হয়ে যেতে পারে। উন্নতির চরম শিখরে উঠেও দেশটির বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষ সাপ, ব্যাঙ খাওয়ার পাশাপাশি এমন অন্ধ কুসংস্কারে এখনও বিশ্বাস রাখেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ