বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপির ভোট কমে গেছে -ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার: নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপির ভোট কমে গেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভের আশা হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি। তাই জাতীয় নির্বাচন থেকে বিএনপি সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওয়াদুল কাদের।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট (আইইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিকী সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত সেন দীপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, মৎস ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন আসলে মাইনরিটিদের জন্য মায়া কান্না দেখায় দলটি। ২০০১ থেকে ২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন মাইনরিটিদের অনেক নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে। এটা ছিল তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের পলিসি। তাদের জনগণের ওপর ভরসা কম। তাই কথায় কথায় তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে।
খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখতে সরকার কারাগার থেকে মুক্তি দিচ্ছে না বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আদালতে সরকারের হস্তক্ষেপ নেই বলেই উচ্চ আদালতও খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়েছেন। বিএনপি নেতাদের জানতে হবে মামলা আছে কয়টা, আর জামিন পেয়েছে কয়টায়।
তিনি বলেন, ভুলত্রুটি আমাদেরও আছে। আমাদের সরকারের সময় মাইনরিটিদের ওপর দুই-একটি বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে। তবে এটা আওয়ামী লীগের পলিসি নয়। দুর্বৃত্তরা এটা অনাকাঙিক্ষত ভাবে ঘটিয়েছে। দুর্বৃত্তদের ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স। কিন্তু মাইনরিটি নিপীড়ন বিএনপির পলিসি।
আওয়ামী লীগের চেয়ে মাইনরিটিদের আর কোনো ভালো বন্ধু নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, আমাদের (আওয়ামী লীগ) কেনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা আপনাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু। তিনি আপনাদের যোগ্যতার অবমূল্যায়ন করেনি। যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়াসহ দলের বিভিন্ন কমিটিতে আপনাদের রেখেছেন। বিকল্প হল পাকিস্তানের দোষররা। আমাদের বিকল্প তাদের ভাবলে আপনাদের ভুল হবে।
মামলা নিয়ে বিএনপি নেতাদের আদালতে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার এ মামলা আওয়ামী লীগ সরকারের নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের। তাই আইনি ভাবে তাকে জামিন পেতে হলে আদালতে যান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ