মুসলমানদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে তুরস্কের ‘হালাল হলিডে’
৭ জুন, ডয়েচে ভেলে : বিশ্বব্যাপী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে ‘হালাল হলিডে’ প্রথা। একটু ছুটি পেলেই বেশিরভাগ মানুষ ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। দেশ বিদেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিদিন ভিড় জমান কোটি কোটি মানুষ। তবে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য সব পর্যটন নগরী উপযুক্ত নয়। আবার অনেক জায়গায় পর্দা করে পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে পারেন না ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং দ্বিতীয় মালয়েশিয়ার পরে বেশকিছুদিন ধরে ইউরেশিয়ার দেশ তুরস্কে চালু হয়েছে হালাল হলিডে। হালাল হলিডের জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দেশটি। বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর ফলও মিলছে হাতেনাতে। গত বছর দেশটিতে সাধারণ পর্যটকদের সংখ্যা কমলেও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছিলো হালাল হলিডের পর্যটকদের।
তুরস্কে ৬০টিরও বেশি হোটেল ও রিসোর্টে মুসলমান পর্যটকদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা আছে। এর মধ্যে আছে, নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা সুইমিংপুল ও সৈকতের ব্যবস্থা, প্রতিটি হোটেল রুমে আছে জায়নামাজ আর কুরআন শরিফ। আর আছে হালাল খাবার। এ সব হোটেলে কোনো অ্যালকোহল পাওয়া যাবে না।
আছে নারীদের জন্য যে সুইমিংপুল, সেখানে নারী নিরাপত্তাকর্মীরা কাজ করেন। আর স্পা’র জন্যও আছেন নারী কর্মী। ফোন আর ক্যামেরা জমা দেয়ার পরই অতিথিরা সেখানে প্রবেশ করতে পারেন। আর এই ব্যবস্থাগুলোই পছন্দ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কারণ তারা চান তাদের মনের মত করে ধর্মীয় রীতি না ভেঙ্গে ছুটি কাটাতে। হালাল হলিডের ক্ষেত্রে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে তুরস্ক।
হালাল হলিডে চালুর পর তুরস্কে বিদেশি পর্যটক বাড়ছে। তার প্রমাণ স্বরূপ ওমে ডিলাক্স হোটেলের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ জারসেকার জানান, কয়েকবছর আগেও তাদের হোটেলে আসা পর্যটকদের ৮০-৯০ শতাংশ ছিলেন তুর্কি। আর এখন ৬০ শতাংশ অতিথিই হচ্ছেন বিদেশি। এছাড়া হোটেল রুমে রয়েছে কোরান শরিফ ও জায়নামাজ।
তুরস্কে চালু হয়েছে হালালবুকিং নামের ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটের মালিক উফুক সেচগিন বলছেন, গত কয়েক বছরে অনেক পর্যটক ছুটি কাটানোর গন্তব্য হিসেবে তুরস্ককে বয়কট করেছেন। কিন্তু হালাল পর্যটন বেড়েছে। কারণ হালাল প্রিয় পর্যটকরা সহজে শিরোনাম দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন না।