বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পাকিস্তানপন্থী বিএনপি হঠাৎ কেন ভারতমুখী? -তোফায়েল

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপিকে পাকিস্তানপন্থী দল আখ্যায়িত করে হঠাৎ দলটি ভারতমুখী কেন হলো এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘ যে দল সব সময় ভারতের সমালোচনা করে এই দেশের ভোটের রাজনীতির মাঠ দখল করতে চায় তারা এখন নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। এমনকি এই দলটি বিভিন্ন সময়ে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আশ্রয় দিয়ে আসছে।’ এসব দৌড়ঝাঁপ না করে বিএনপিকে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রবীণ এই নেতা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভোলার দৌলতখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তোফায়েল এসব কথা বলেন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বরাবরই ভারতের ‘হস্তক্ষেপ’ ব্যাপক আলোচিত বিষয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ভারতের সমর্থনে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসে বলে প্রচার আছে। আওয়ামী লীগ ভারতমুখী এবং বিএনপি ভারতবিরোধী এমন প্রচারও রয়েছে। তবে সম্প্রতি বিএনপি ভারতের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বাড়িয়েছে। কয়েক দিন আগে বিএনপির তিন নেতা ভারতে সফর করে সেখানকার ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং বিরোধী দল কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন। হঠাৎ বিএনপি নেতাদের এই ভারত সফরকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। 
 তোফায়েল বলেন, ‘এই দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বিদেশীরা কখনও অন্য দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে না। অতীতেও করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী যখন বাংলাদেশে আসেন তখন খালেদা জিয়া তার সঙ্গে দেখা করেননি। এখন সেই ভারতের কাছে, বিদেশীদের কাছে তারা (বিএনপি) দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছে।’
 তোফায়েল বলেন, ‘বিএনপি কখনও সহায়ক সরকার আবার কখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করেছে। এসব দাবি করে কোনো লাভ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কোনোদিন বাংলাদেশে আসবে না।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কোনো অসুবিধা হবে না উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে আদালতের মাধ্যমে। কোনো দল বা ব্যক্তি তাকে সাজা দেয়নি। তার চিকিৎসার ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষ বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এছাড়াও বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হয় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এটি বিশেষায়িত হাসপাতাল। সেখানকার চিকিৎসকরা যদি বলে কোনো একটা চিকিৎসা করতে সংকট আছে তাহলে বিকল্প চিন্তা করা যেতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও আইজি প্রিজন বলেছেন, তার (খালেদা জিয়ার) চিকিৎসার কোনো অসুবিধা নাই, চিকিৎসার কোনো সমস্য হবে বলে আমরা মনে করি না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি সাতবার জেলে ছিলাম, কিন্তু আমার কাজের লোক আমার সঙ্গে থাকেনি। জেল কোডের বাইরে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার কাজের লোক দেয়া হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে জেল কোডের বাইরে গিয়েও অনেক সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ