শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বন্দুকযুদ্ধে ময়মনসিংহে ও যশোরে ২ জন নিহত

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের ভালুকায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জালাল (৩৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিনগত রাত সোয়া ২টার দিকে উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের খন্দকার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জুয়েল এবং কনস্টেবল ফজলুল হক আহত হন। তাদের প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে জেলা পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, জালাল মাদক সম্রাট। তার বিরুদ্ধে মাদক, হত্যাসহ ৬টির বেশি মামলা রয়েছে। ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। তিনি জানান, কতিপয় মাদক ব্যাবসায়ী মাদক হাতবদল করছে, এমন খবরে ডিবি পুলিশ ও ভালুকা মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাথাড়ি গুলী ছোড়ে। পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলী ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী জালালকে (৩৮) গুলীবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠালে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ডিবি’র ওসি জানান, ঘটনাস্থল থেকে ২০০ পিস ইয়াবা, চারটি গুলীর খোসা, একটি বড় রামদা এবং মাদক ব্যবসায়ীদের ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
চৌগাছা (যশোর) সংবাদদাতা : যশোরের চৌগাছায় দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শহিদ মল্লিক (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি বেনাপোল পোর্ট থানার কাগমারি এলাকার শওকত মল্লিকের ছেলে। বেলা ১১টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিহতের ভাই মনির মল্লিক তার লাশ শনাক্ত করেন। চৌগাছা থানার ওসি খোন্দকার শামিম উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে তিনি সংবাদ পান চৌগাছা যশোর সড়কের চান্দা আফরা নামক এলাকায় দুইদল মাদকব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হচ্ছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে তারা পালিয়ে যায়। এসময় সেখানে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং লাশের পাশে একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলী ও প্রায় কেজি তিনেক গাঁজা পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মনির মল্লিক ও তাদের নিকটাত্মীয় ডা. নজরুল ইসলাম বলছেন, ৩ জুলাই দুপুরে শহিদ মল্লিক যশোরের শার্শায় যান একটি জমি রেজিস্ট্রি করতে। দুপুরের পর পুলিশ পরিচয়ে তাকে কয়েকজন সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার সকালে খবর পেয়ে তারা হাসপাতালে এসে লাশ শনাক্ত করেন। তাদের দাবি, নিহত শহিদ একসময় মাদক ব্যবসা করতেন। তবে ইদানিং কৃষিকাজ ও রাখিমালের ব্যবসা করতেন। তার দুই স্ত্রী ও পাঁচ ছেলেমেয়ে আছে। নজরুল ইসলাম জানান, শহিদ আগামী ৩ জুলাই খালেদা নামে আরেক নারীকে বিয়ে করবেন বলে জমি লিখে দিতে এসেছিলেন। জানতে চাইলে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, গোলাগুলীর কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। তবে শহিদ মল্লিকের নামে ১৪টি মামলা রয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ