বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নড়িয়ায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাড়িঘর ভাংচুর ॥ পুলিশসহ আহত ১০

শরীয়তপুর সংবাদদাতা : নড়িয়ায় গাছকাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ককটেল বোমা বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা বাড়ীঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠিান ভাংচুর করেছে। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য আব্দুল হককে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আনোয়ার নামের আহত একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪ রাউন্ড ফাকা গুলী ছুড়ে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করেছে নড়িয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।  ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সকালে ও  সন্ধ্যায় শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মুফৎগঞ্জ বাজারে।
নড়িয়া থানা ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মুলফৎগঞ্জ বাজারের উত্তর পার্শ্বে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন কবলিত নুর হোসেন দেওয়ানের বাড়ীর সিমানায় শ্রমিক নিয়ে ভাঙ্গন রোধে বাস দিয়ে বেরিবাঁধ দিচ্ছিলেন। একই স্থানে পাশ্ববর্তী জয়নাল দেওয়ানের ছেলে আদনান দেওয়ান শ্রমিক নিয়ে গাছকাটতে যায়। এ সময় নুর হোসেন দেওয়ানের ছেলে জনি দেওয়ান একটু তাড়াতাড়ি গাছকাটার কথা বলে। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বাধে। এতে গাছকাটা শ্রমিক আনোয়ার ছৈয়াল ও নুর হোসেন দেওয়ানের ছেলে জনি দেওয়ান মারাত্মক আহত হয়। এ ঘটনার জের ধরে আবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আহত আনোয়ারে পক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ও ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নুর হোসেন দেওয়ানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সমর্থকদের ৪/৫টি বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে বলে অভিযোগ নুর হোসেন দেওয়ানের সমর্থকদের। খবর পেয়ে নড়িয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষকারীদের মারা ককটেল বোমার আঘাতে পুলিশ সদস্য আব্দুল হক মারান্তক আহত হন। এ ঘটনায় আরো ৫/৬ জন আহত হয়। নড়িয়া থানার পুলিশ প্রথমে লাঠি চার্জ করে। পরে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ১৪ রাউন্ড ফাকা গুলী ছুড়ে। আহত পুলিশ সদস্য আব্দুল হককে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় আহত আনোয়ারে স্ত্রী মাসুদা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে নড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ