বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বিদ্যুৎ-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী সিঙ্গাপুর

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে বিদ্যুৎ-জ্বালানী, প্রযুক্তি, অবকাঠামো ও পর্যটনসহ কয়েকটি খাতে বিনিয়োগ করতে চায় বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের সংগঠন সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরামের (এসবিএফ) চেয়ারম্যান টেও সিওং সেং।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরাম’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা জানান তিনি। এফবিসিসিআই এবং এসবিএফ যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম, বিডি চ্যামের সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, এসআইসিসিআইয়ের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রসূন মুখার্জি, এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, সহ-সভাপতি মুনতাকিম আশরাফসহ শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
টেও সিওং সেং বলেন, সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। বিশেষ করে বিদ্যুৎ, প্রযুক্তি, অবকাঠামো ও পর্যটনসহ কয়েকটি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী আমরা। তবে এ জন্য দুই দেশকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সিঙ্গাপুরের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে। এ জন্য খাতে অনেক বিনিয়োগ দরকার। চীনের বিনিয়োগকারীরা এখন প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সিঙ্গাপুর বেশ কিছু বিনিয়োগ করেছে। সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে এ খাতে আরও বিনিয়োগ আশা করছি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সিরাজগঞ্জে ৪১৪ এলএনজি টার্মিনাল, ১৪ হাজার মেগাওয়াটের কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি সরবরাহে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ করেছে। তাদের কাছ থেকে অটোমেশন, ডিজিটাল পেমেন্ট, আইসিটি ও উদ্ভাবনী খাতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে।
এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুরে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। বিপরীতে সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করে প্রায় ২৪৫ কোটি ডলারের পণ্য। সেই হিসেবে সিঙ্গাপুরের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে প্রায় ২৩২ কোটি ডলার। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই ঘাটতি ছিল প্রায় ২১১ কোটি ডলার।
বাংলাদেশে বাণিজ্য বাড়াতে ব্যবসার পরিবেশ ও সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা নিতে সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এখন বাংলাদেশে রয়েছেন। সপ্তাহব্যাপী এ সফরে প্রতিনিধি দলটি ঢাকা ও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেজার সাথে বৈঠক করেছে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল। ওই বৈঠকে তারা বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে অন্তত ৩০০ একর জমি চেয়েছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ