বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ডিভাইস ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করছে স্যামসাং ও শাওমি

আহমেদ ইফতেখার: স্যামসাংয়ের কয়েকটি মডেলের স্মার্টফোনে নিরাপত্তা ত্রুটি থাকার অভিযোগ উঠেছে। এসব ডিভাইস ব্যবহারকারীদের অনেকে অভিযোগ করছেন, অনুমতি ছাড়াই তাদের ছবি কনট্যাক্ট লিস্টের অন্যদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে। স্যামসাং ছাড়াও চীনভিত্তিক ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি তাদের ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে। নিজেদের গোপনীয়তা নীতি অনুযায়ী এ কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করেছেন। এক স্যামসাং ডিভাইস ব্যবহারকারী জানান, তিনি স্যামসাং গ্যালারি অ্যাপে কখনো শেয়ারড ট্যাব ব্যবহার করেননি, যা ফটো গ্যালারি ছাড়াই মেসেজিং অ্যাপ, ই-মেইল কিংবা সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছবি পাঠাতে গ্রাহকদের সুযোগ দেয়। আরেকজন ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, তার স্ত্রীর ফোনেও একই ঘটনা ঘটেছে। তবে যে রাতে তার স্ত্রীর ফোন থেকে ছবি পাঠানো হয়েছে, তার আগের রাতে তার ফোন থেকেও অনুরূপভাবে ছবি পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গ্রাহকদের অভিযোগ সম্পর্কে তারা জেনেছেন। তাদের বিশেষজ্ঞ দল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। প্রাথমিক তদন্তে কয়েক দিন ধরে স্যামসাং এ বিষয়টি পর্যালোচনা করেছে। এতে হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যারের ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। শাওমি তাদের প্রাইভেসি নীতি অনুযায়ী ডিভাইস ব্যবহারকারীর নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, ভাষাসহ নানা ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এ ছাড়া ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানটিকে যেসব তথ্যে প্রবেশাধিকার দিয়ে থাকেন, তার বাইরেও বিভিন্ন তথ্য নিতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। সাধারণত শাওমির ডিভাইসের সঙ্গে অনেক সেবা বান্ডল অফার হিসেবে দেয়া হয়। এসব সেবা ব্যবহারের জন্য তাদের প্রাইভেসি নীতিমালা অ্যালাউ করলে ফোনে থাকা মোবাইল নম্বর, ইমেইল ঠিকানা ও ফোনে থাকা অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করতে পারবে শাওমি। শাওমির প্রাইভেসি নীতিমালায় স্পষ্ট করে বলা আছে, কোনো ব্যবহারকারী মিডটকম বা প্রতিষ্ঠানটির অন্য প্লাটফর্ম থেকে কোনো কিছু কেনেন, তাহলে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, অ্যাকাউন্টধারীর নাম, ক্রেডিট কার্ড নম্বর ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে শাওমি। ব্যবহারকারীর ডিভাইসে থাকা বিভিন্ন তথ্য নিতে পারে শাওমি। ডিভাইসের আইএমইআই নম্বর, আইএমএসআই নম্বর, এমএসি ঠিকানা, সিরিয়াল নম্বর, এমআইইউআই ভার্সন ও অন্যান্য তথ্য নিতে পারে শাওমি। এমআই ক্লাউডের সঙ্গে মোবাইল সিঙ্ক করা মানে ফোনে থাকা ছবি, ভিডিও ও মেসেজ শাওমির জিম্মায় রেখে দেয়া।
আর এসব নিজেদের গোপনীয়তা নীতিমালার আলোকে করে প্রতিষ্ঠানটি। ডিভাইস ব্যবহারকারীর অবস্থান-সংশ্লিষ্ট তথ্য রাখে শাওমি। কান্ট্রি কোড, সিটি কোড, মোবাইল নেটওয়ার্ক কোড, মোবাইল কান্ট্রি কোড, সেল আইডেন্টিটির তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়াও ব্যবহারকারী কোনো দ্রাঘিমাংশে রয়েছেন ও সেখানকার সময়ের পার্থক্য জেনে নিতে পারে। শাওমির ডিভাইস ব্যবহারকারী চাইলে তথ্য নেয়ার অপশন বন্ধ রাখতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে শাওমির কোনো সেবার হালনাগাদ পাওয়া যাবে না।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ